হাইলাইটস
- দিল্লি হিংসায় নাম জড়িয়েছে আপ নেতা তাহির হুসেনের
- তাই অভিযুক্ত সেই কাউন্সিলর বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন
- এই ঘটনায় মৃত ৪৬। আহত দ্বিশতাধিক
নয়া দিল্লি: দিল্লি হিংসায় (Delhi Violence) নাম জড়িয়েছে আপ কাউন্সিলর তাহির হুসেনের (Tahir Hussain)। সেই অভিযুক্ত নেতা আত্মসমর্পণ (Surrender) করতে দিল্লি কোর্টে হাজিরা দিলেন। এই ঘটনায় মৃত ৪৬। আহত দুই শতাধিক। গ্রেফতার প্রায় ৮০০ জন। মূলত, গোয়েন্দা আধিকারিক অঙ্কিত শর্মা খুনে নাম জড়িয়েছে তাহিরের। তাঁর বিরুদ্ধে খুন এবং লুটপাটের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে এই নেতাকে। গত সপ্তাহে জাফরাবাদের একটা নালা থেকে উদ্ধার হয় অঙ্কিত শর্মার নিথর দেহ। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, "কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে উন্মত্ত জনতার তাণ্ডবের শিকার হয়েছিলেন অঙ্কিত। সেই তাণ্ডবের পিছনে তাহির হুসেনের ইন্ধন রয়েছে।" যদিও সাম্প্রতিক একটা ভিডিও বার্তায় নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই নেতা। তবে ভাইরাল একটা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, জাফরাবাদের একটা বাড়ির ছাদে সম্ভবত ঘুরতে দেখা গিয়েছে তাহির হুসেনকে। তাঁর হাঁতে লাঠি ছিল। সেই ভিডিওতে এমনটাই দেখা গিয়েছে। এমনকি, তাঁর সঙ্গে যে শাগরেদরা ছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে দিল্লিতে সংঘর্ষ বাঁধানোর অভিযোগ রয়েছে। তবে সেই ভিডিও স্পষ্ট করে বলতে পারেনি, লাঠি হাতে সেই ব্যক্তি তাহির হুসেনই কিনা।
এক কথাতেই মেট্রো ফাঁকা, কী এমন বললেন যুবক?
এরপরেই পরিবারের অভিযোগের বিরুদ্ধে সেই নেতার বিরুদ্ধে এফআইএর দায়ের হয়েছে। তারপরেই দল থেকে সাসপেন্ড করা হয় তাহিরকে । এ বিষয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমার দলের কেউ অভিযুক্ত হলে উপযুক্ত শাস্তি পাবেন।
সম্প্রতি পুলিশের উপর গণরোষের এক ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে যে পুলিশ কর্মীরা অসহায় ভাবে মার খাচ্ছেন। লাগাতার পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টিতো চলেই, কোথাও কোথাও আবার দেখা যায় লাঠি নিয়ে পুলিশকে পেটাতে ছুটছেন মহিলারাও। ভিডিওতে দেখা যায়, জনতার তাড়া খেয়ে ছুটে পালাতে গিয়ে রাস্তার মাঝখানে থাকা ব্যারিকেডে আটকা পড়েন বেশ কিছু পুলিশ কর্মী। কেউ কেউ আবার ব্যারিকেড টপকে কোনওক্রমে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান।
আর্থিক প্রতারণা মামলায় জেটের প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গয়ালের বাড়িতে ইডির তল্লাশি
২৪ ফেব্রুয়ারি, চাঁদবাগ এলাকায় দিল্লি পুলিশের উপর হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। ওই হামলার সময়েই পুলিশের হেড কনস্টেবল রতনলাল গুলিবিদ্ধ হন এবং ডিসিপি শাহদারা অমিত শর্মা এবং এসিপি গোকুলপুরী অনুজ কুমার গুরুতর আহত হন।