দিল্লির আপ সরকারকে, দিল্লি গণধর্ষণ-কাণ্ডে অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ঝুলে থাকার জন্য অভিযুক্ত করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
হাইলাইটস
- নির্ভয়া কাণ্ডে চার অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্ঘণ্ট ২২ জানুয়ারি
- পিছতে পারে সেই নির্ঘণ্ট
- এই গড়িমসির জন্য আপ সরকারকে অভিযুক্ত করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
নয়াদিল্লি: দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডের (Nirvaya Gang Rape) চার অপরাধীর ফাঁসি কার্যকরী করতে গা ছাড়া (Negligence) ভাব দেখাচ্ছে দিল্লি সরকার। বৃহস্পতিবার সে রাজ্যের আপ সরকারকে (AAP Government) এভাবেই কাঠগড়ায় তুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। ওই পরিবারকে ন্যায় দিতে অযথা দেরি করেছে আপ, এমন অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, "আড়াই বছর ধরে কেন চার অপরাধীকে বলা হয়নি প্রাণভিক্ষার (Mercy Plea) জন্য দরবার করতে?" এদিকে জানা গেছে, ২২ জানুয়ারি সকাল ৭ টা নাগাদ ওই চার জনের ফাঁসি (Execution) সম্পন্ন করার নির্ঘণ্ট। কিন্তু নতুন করে অন্যতম এক অপরাধী প্রাণভিক্ষা মঞ্জুর করতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু সেই আবেদন নিম্ন আদালতের এক্তিয়ারভুক্ত বলে ওই অপরাধীকে নোটিশ পাঠিয়েছে হাইকোর্ট। ফলে যে আদালত মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা জারি করেছিল এখন সেই আদালতে ঝুলে তার প্রাণভিক্ষার আবেদন।
Nirbhaya case: চার ধর্ষকের ফাঁসির নতুন তারিখ চাইল তিহার জেল
যদিও সেই গণধর্ষণ কাণ্ডে মৃত 'নির্ভয়া'র মা রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হন। তিনি অনুরোধ করেছেন, কোনওভাবেই যাতে সাজা কার্যকরের ঘোষিত নির্ঘণ্ট না বদলায়। আসামিরা যে আদালতেরই দ্বারস্থ হোক না কেন, ২২ জানুয়ারিই যাতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দকে এমন আবেদন করেছে ওই পরিবার। এদিকে জানা গেছে, দিল্লি সরকার বুধবার হাইকোর্টে সওয়াল করেছিল, এক অপরাধী ফের প্রাণভিক্ষার আবেদন জানিয়েছে। তাই ২২ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা সম্ভব নয়। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে নিম্ন আদালতের কোর্টে বল ঠেলে দিয়েছে হাইকোর্ট। যদিও মৃত্যুদণ্ডের পরোয়ানা জারিতে কোনও সমস্যা নেই, বলে জানিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট।
Nirbhaya Case: পরীক্ষায় ফেল করেও জেলে বসে লক্ষ টাকা কামালো নির্ভয়া কাণ্ডের অভিযুক্তরা
গত মাসেই রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ, ওই চার অপরাধীর প্রাণভিক্ষার আবেদন না-মঞ্জুর করেছেন। কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্টও। তারপর থেকেই ওই চারজন, মুকেশ, অক্ষয়, পবন আর বিনয়ের মৃত্যুদণ্ড কবে তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। গত সপ্তাহে দিল্লির এক আদালত তাদের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে। ২২ জানুয়ারি সকাল ৭টা নাগাদ ঠিক হয়েছিল ফাঁসি দেওয়ার নির্ঘণ্ট। উত্তর প্রদেশের ফাঁসুড়ে আর বিহারের দড়ি, এই দু'য়ের বন্দোবস্ত করে ফেলেছে তিহার জেল। বালির বস্তা দিয়ে প্রাথমিক প্রস্তুতিও সেরে নিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। এখন ফের আইনি ঘেরাটোপে মৃত্যুদণ্ড, বলছেন আইনজ্ঞরা।