২০১৭ এনডিটিভিকে জানিয়েছিলেন বিরোধীরা তাঁর নামে অপবাদ দেয়।
হাইলাইটস
- মায়ের সামনে তিনি কথা দিয়েছেন জীবনে আর কখনও মদ স্পর্শ করবেন না
- আর সে কথা তিনি রাখবেন বলে দাবি আপ নেতাদের
- লোকসভায় ভাষণের সময় মানকে কটাক্ষ করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদী
নিউ দিল্লি: আর মদ খাবেন না আম আদমি পার্টির সাংসদ ভগবন্ত মান। নিজের এই বদ অভ্যাস ত্যাগ করছেন সাংসদ। সে কথা গত ১লা জানুয়ারি নিজেই ঘোষণা করে দিয়েছেন বলে জানালেন দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণিশ সিসোদিয়া। নিজের মায়ের সামনে তিনি কথা দিয়েছেন জীবনে আর কখনও মদ স্পর্শ করবেন না। সভায় উপস্থিত প্রত্যেককে উদ্দেশ করে এ কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। এখন থেকে মান শরীর এবং মন দিয়ে পাঞ্জাবের জন্য কাজ করতে চান বলেও দাবি করেছেন মণিশ। আর সে কথা তিনি রাখবেন বলে দাবি আপ নেতাদের। মানের মদ্যপানের অভ্যাস বেশ পুরনো।
ভোটে হার নিশ্চিত জেনে এখন থেকেই ইভিএমের দিকে আঙুল তুলছে বিরোধীরাঃ মোদী
অন্য দল তো বটেই তাঁর নিজের দলেও সমালোচিত হয়েছেন মান। ২০১৭ সালের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল মানকে পাঞ্জাবের সভাপতি পদে নিয়ে আসার কথা ভাবেন। প্রতিবাদে দল ছাড়েন গুরপ্রীত সিং নামে এক পরিচিত নেতা। ‘মাতাল'কে দলের দায়িত্ব দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও মানকে খোঁচা দিয়েছেন। লোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী বলেন, চার্বাক দর্শনে বলা আছে আনন্দে থাকতে হবে। প্রয়োজন হলে ধার করে ঘি খেতে হবে। এটুকু বলে মানের দিকে তাকান মোদী। বলেন তবে মান অবশ্য অন্য কিছু খাওয়ার পরামর্শ দেবেন।
মমতাকে পাঠানো চিঠিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বললেন না কেন রাহুল, প্রশ্ন প্রদেশ কংগ্রেসের
সমালোচনা সত্ত্বেও নিজের ‘অভ্যাস'কে সমস্যার বলে মনে করেননি মান। ২০১৭ এনডিটিভিকে জানিয়েছিলেন বিরোধীরা তাঁর নামে অপবাদ দেয়।
মদ ছাড়ার সিদ্ধান্তের জন্য মানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। টুইটে তিনি লেখেন এরকম ঘোষণা করার সাহস সবাই দেখাতে পারে না কিন্তু মান তা পেরেছেন। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি উনি যেন এখনকার মতো সবসময় মানুষের কাজ করতে পারেন।