সম্প্রতি অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন ভারতীয়-মার্কিন Abhijit Banerjee
কলকাতা: প্রথিতযশা ছেলের (Abhijit Banerjee) পাশে দাঁড়িয়ে সমালোচকদের উদ্দেশ্যে তীব্র কটাক্ষ বাণ ছুঁড়লেন মা। নোবেল জয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায় (Nirmala Banerjee) সোমবার বলেন যে প্রত্যেকেই বাক স্বাধীনতার অধিকারী ঠিকই তবে তাঁর ছেলের সমালোচকদেরও অন্যের মতামতকে সম্মান করা উচিত। কারও নাম না নিয়েই তিনি আরও বলেন যে সমালোচকরা নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি কেবল তাঁর ছেলের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে প্রমাণ করতে পারবেন না। নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদের মা সাংবাদিকদের বলেন, "আমার ছেলের বিরুদ্ধে করা বক্তব্য নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না। তাঁদের বাকস্বাধীনতা আছে, তবে এটা তাঁদের অহঙ্কার কথা বলছে। তবে এ জাতীয় মন্তব্য করে তাঁরা তাঁদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি প্রমাণ করতে পারবেন না" ।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল নোবেল জয়ীকে "বামপন্থী" ব্যক্তি হিসাবে উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন যে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ন্যূনতম আয়ের প্রকল্পের পরামর্শও ভারতীয় ভোটাররা প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং "তিনি যা মনে করেন তা গ্রহণ করার" কোনও দরকার নেই।
নিজের মতামত শেয়ার করে বিজেপির জাতীয় সচিব রাহুল সিনহাও দাবি করেন যে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অর্থনৈতিক তত্ত্বগুলি ভারতের ভিত্তিতে প্রমাণিত হয়নি।
আশা করি অর্থনৈতিক সঙ্কট কাটাতে পরামর্শ দেবেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বললেন দিলীপ ঘোষ
খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদের মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সব সমালোচনার উত্তরেই মুখ খুলেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, তাঁর সমালোচকদের এটা বোঝা উচিত যে অন্যরাও একই বাকস্বাধীনতার অধিকার ভোগ করে।
ছেলের নোবেল জয়ের কয়েক দিন পরে যে ধরণের মন্তব্য করা হয়েছিল সেইগুলোকে ইঙ্গিত করে তিনি তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, "ওঁরা ওঁর ব্যক্তিগত জীবন এবং দ্বিতীয় বিবাহ সম্পর্কে কথা বলছে। ওঁরা যদি মনে করেন যে কোনও বিদেশির সঙ্গে বিয়ে করাই কোনও ব্য়ক্তির নোবেল জয়কে নিশ্চিত করে, তবে তাঁরা নিজেরাই তা করছেন না কেন? তাই যদি হয়, তাহলে আমাদের চারপাশে আরও অনেক নোবেল পুরস্কার বিজয়ী থাকবেন"।
অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ নয়, দলের নেতাদের নির্দেশ রাজ্য বিজেপির
ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ভারতীয়-আমেরিকান অধ্যাপক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর স্ত্রী এস্থার ডুফ্লো এবং আরেক অর্থনীতিবিদ মাইকেল ক্রেমারের সঙ্গে মিলিতভাবে ‘বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনে পরীক্ষামূলক পদ্ধতির জন্য' ২০১৯ সালের নোবেল অর্থনীতি পুরস্কার (2019 Nobel Economics Prize) পান।