সেলিম খান অভিনব কাশ্যপের অভিযোগের পর বোম্বে টাইমসে সাক্ষাৎকার দেন
হাইলাইটস
- অকালে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন সুশান্ত সিং রাজপুত
- সলমানের 'দাবাং'-এর পরিচালক অভিনব কাশ্যপ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা পোস্ট করেন
- সম্প্রতি এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন সেলিম খান
নিউ দিল্লি: অকালে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন সুশান্ত সিং রাজপুত।কিন্তু তারপর থেকেই এই মৃত্যুকে ঘিরে শুরু হয়েছে বহু জল্পনা। যেন বহুদিনের জমে থাকা ধোঁয়াশা দিনে দিনে পরিষ্কার হয়ে উঠছে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ সহ্য করতে না পরে যখন আত্মহননের পথ বেছে নেনে সুশান্ত তখন একের পর এক অভিযোগের আঙ্গুল উঠতে দেখা গেছে সলমান খানের দিকে। সলমানের 'দাবাং'-এর পরিচালক অভিনব কাশ্যপ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা পোস্ট করেন, যা ঘিরে দানা বাঁধে বহু জল্পনা।তিনি সরাসরি তাঁর কেরিয়ার খারাপ করার আরোপ তোলেন সলমান ও তাঁর পরিবারে দিকে। তাঁর পোস্টে তিনি সলমান খান, আরবাজ খান, সোহেল খান সহ তাঁদের বাবা সেলিম খানের দিকেও তুলেছেন অভিযোগের আঙ্গুল। সম্প্রতি এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন সেলিম খান, তিনি বলেছেন,''হ্যাঁ, আমরাই তো সব খারাপ করেছি। তবে এর সঙ্গে আমার বাবা, দাদুর নামটাও দেওয়া উচিত ছিল।''
সেলিম খান অভিনব কাশ্যপের অভিযোগের পর বোম্বে টাইমসে ইন্টারভিউ দেন আর বলেন, '' আজ্ঞে হ্যাঁ, আমরাই সব খারাপ করেছি। আগে আপনি গিয়ে ওনার সিনেমা গুলি দেখুন, তারপর আমরা কথা বলব। উনি নিজের বক্তব্যে আমরা নামও তুলেছেন, আমার মনে হয় উনি বোধহয় আমার বাবার নাম জানেন না। ওনার নাম ছিল রশিদ খান।ওনার আমার বাবা ও ঠাকুরদার নামও উল্লেখ করা উচিত ছিল।উনি যা করতে চাইছেন করতে দিন।আমি ওনার কথার উত্তর দিয়ে নিজের সময় নষ্ট করতে চাইনা।'' প্রসঙ্গত, তিনি জানিয়েছিলেন, অষ্টবিনায়ক ফিল্মসের তাঁর একটি প্রজেক্ট নাকি আরবাজ খান নষ্ট করে দিয়েছেন।
সলমান খান ও তাঁর পরিবারের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে অভিনব কাশ্যপ একটি পোস্টে লেখেন, ''আমাকে প্রচণ্ড ভয় দেখানো হয়েছিল।অষ্টবিনায়ক ফিল্মসের আমার একটি প্রজেক্ট না আরবাজ খান নষ্ট করে দেন, আমি মিস্টার রাজ মেহতার কথা শুনে এই প্রজেক্টে স্বাক্ষর করেছিলাম। আমার সঙ্গে কাজ করলে তাঁকেও পরিণাম ভোগ করতে হবে, এমন ভয়ও দেখানো হয়েছিল তাঁকে। আমি শ্রী অষ্ট-বিনায়কের পয়সা ফিরিয়ে দিই এবং তারপর ওয়েকম পিকচার্স-এ যাই। সেখানেও তাঁরা একই রকম কাজ করে, আমার সিনেমা 'বেশরম' মুক্তি পাওয়ার ঠিক আগে ওঁদের পিআরও আমার নাম কুৎসা রটায় এবং ঋণাত্মক ক্যাম্পেনিং চালাতে থাকে।