এই তদন্তে মুম্বই পুলিশকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
নয়াদিল্লি: বিহার সরকারের সিবিআই তদন্তের সুপারিশে সায় দিয়েছে কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টকে এই তথ্য দিল কেন্দ্র। ইতিমধ্যে বিহার আর মহারাষ্ট্র পুলিশের মধ্যে এই তদন্ত নিয়ে জোর টক্কর চলেছে। মঙ্গলবারই বিহারের নীতীশ কুমার সরকার এই তদন্তে সিবিআইয়ের সুপারিশ করেছিল। যদিও কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। তাদের বক্তব্য, "পাটনায় দায়ের করা এফআইআর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিহারের কোনও এক্তিয়ার নেই এভাবে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করার।" এই সওয়াল-জবাব পর্বে সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, "প্রয়াত অভিনেতার মৃত্যুর পিছনে রহস্য খতিয়ে দেখা উচিত।" পাশাপাশি পাটনা পুলিশের এসএসপিকে মুম্বইতে কোয়ারান্টাইন করার বিষয়েও এদিন ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। অন্যদিকে রিয়া চক্রবর্তীর করা আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে বিহার পুলিশকে তদন্ত চালিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। এখনও পর্যন্ত তদন্তের গতিপ্রকৃতি কী, স্ট্যাটাস রিপোর্ট মুম্বই পুলিশকে দাখিল করতে বলেছে আদালত।
এদিকে, সুশান্ত-রিয়ার সম্পর্ক ভাঙতে উদ্যোগী হয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেতার জামাইবাবু। বুধবার এমন দাবি করেছেন মুম্বই পুলিশের ডিসি পরমজিৎ সিং দাহিয়া। সুশান্ত সিং রাজপুতের জামাইবাবু ওপি সিং তাঁকে রিয়াকে চাপ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। এই ওপি সিং হরিয়ানা পুলিশের আইপিএস পদমর্যাদার আধিকারিক। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে এই অনুরোধ এসেছিল। সংবাদমাধ্যমের সামনে খোলসা করেন মুম্বই পুলিশের এই কর্তা। তাঁর দাবি, ফেব্রুয়ারি মাসের ১৮ ও ২৫ তারিখ হোয়্যাটসঅ্যাপ করে এই অনুরোধ করা হয়েছিল। মিরান্ডা নামে একজনকে কয়েকদিন জেল খাটাতেও আমার কাজে দরবার করা হয়েছিল।
সুশান্তের পরিবারের মনে হয়েছে রিয়া তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তাই ওর জীবন থেকে রিয়াকে সরাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন অভিনেতার জামাইবাবু। যদিও, সেই আবেদন খারিজ করেছিলেন পরমজিৎ সিং।