লিসিপ্রিয়ার কাঙ্গুজামের সমালোচনায় এবার বিদ্ধ হল Congress
হাইলাইটস
- তাঁর দাবি শোনার জন্যে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করে লিসিপ্রিয়া কাঙ্গুজাম
- "টুইটার ক্যাম্পেন"-এ তাঁর নাম ব্যবহার করায় কংগ্রেসকেও একহাত নেয় সে
- গ্রেটা থানবার্গের সঙ্গে তাঁর তুলনাও না-পসন্দ লিসিপ্রিয়ার
নয়া দিল্লি: প্রধানমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া সম্মান ফিরিয়ে দিয়ে সম্প্রতি খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে মণিপুরের বাসিন্দা ৮ বছরের ছোট্ট পরিবেশ কর্মী লিসিপ্রিয়া কাঙ্গুজাম। এই 'আন্তর্জাতিক মহিলা দিবসে' কেন্দ্রীয় সরকার কয়েকজন নারীর অনুপ্রেরণাদায়ক গল্প শেয়ার করার প্রস্তাব দেয়। লিসিপ্রিয়াও সেই অনুপ্রেরণাদায়ী নারীদের মধ্যে অন্যতম ছিল। কিন্তু ভারত সরকারের এই টুইটের জবাবে লিসিপ্রিয়া প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলে দেয় এই সম্মান গ্রহণে সম্মত নয় সে। এরপরেই এই বিষয়টি নিয়ে কোমর বেঁধে রাজনীতি করতে নেমে পড়ে বিরোধী দল কংগ্রেস (Congress)। পরিবেশকর্মী লিসিপ্রিয়াকে অবলম্বন করে মোদি সরকারকে আক্রমণ করে তাঁরা। এই ঘটনা দেখে কংগ্রেসকেও ছাড় দেয়নি ছোট্ট ওই মণিপুরী কন্যা (Licypriya Kangujam)। "টুইটার ক্যাম্পেন"-এ তাঁর নাম ব্যবহার করায় কংগ্রেসের প্রতি রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে টুইট করে লিসিপ্রিয়া কাঙ্গুজাম। কংগ্রেসের পোড় খাওয়া নেতা শশী থারুরের (Shashi Tharoor) সমালোচনায় করে সে।
"সম্মান চাই না, আমার কথা সংসদে তুলুন," নরেন্দ্র মোদিকে টুইট খুদে লিসিপ্রিয়ার
কংগ্রেস টুইট করে, "পরিবেশকর্মী লিসিপ্রিয়া কাঙ্গুজাম প্রধানমন্ত্রী নারী শক্তি এবং নারীর ক্ষমতায়নের প্রতি করা ভণ্ডামিকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, সরকারের দেওয়া সম্মান অস্বীকার করেছে। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পরে, লিসিপ্রিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে মনে করিয়ে দিয়েছে যে কোনও কিছু নিয়ে টুইটার প্রচার করার চেয়ে তাঁর কথা শোনা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ"।
পাশাপাশি সুইডিশ জলবায়ু পরিবর্তন কর্মী গ্রেটা থানবার্গের সঙ্গে তাঁর তুলনা না-পসন্দ ৮ বছরের লিসিপ্রিয়া কাঙ্গুজামের, এই বিষয়েও আপত্তি জানায় ওই মণিপুরী কন্যা। সেইসঙ্গে "টুইটার ক্যাম্পেন"-এ তাঁর নাম ব্যবহার করায় দেশের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দলটির সমালোচনাও করে সে। কংগ্রেসকে লক্ষ্য করে কটাক্ষ টুইটে সে জানতে চায় যে কংগ্রেসের কতজন সাংসদ চলতি অধিবেশনে তাঁর দাবি সংসদে তুলে ধরতে চান? টুইটটির শেষে সে লেখে, "কে আমার কণ্ঠ শুনছে?"
এরপরেই কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর লিসিপ্রিয়ার টুইটের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে টুইট করেন, "প্রিয় লিসিপ্রিয়া, তোমার কণ্ঠস্বর আমাদের কণ্ঠ। গত তিন বছর ধরে আমি বায়ু দূষণ নিয়ে সচেতন করতে সভা সমিতি করে যাচ্ছি। আমি জাতীয় স্তরে বায়ু দূষণ কীভাবে রোধ করতে হয় সেই সম্পর্কেও বলেছি। ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে কংগ্রেস পরিবেশ নিয়ে ব্যাপক প্রচার করেছে। এই বিষয়টি আমাদের ইস্তেহারেও রয়েছে। আমরা এটা নিয়ে কাজ করব"।
"আরও পড়াশুনো করতে চাই", প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন ৯৮ বছরের বৃদ্ধার
কংগ্রেস সাংসদের টুইটের প্রতিক্রিয়ায় লিসিপ্রিয়া লেখে, "স্যার, আমি আপনার দ্রুত জবাবের প্রশংসা করছি। তবে আপনি আমার প্রশ্ন এবং দাবিগুলিকে বায়ু দূষণ নীতি ইত্যাদি নিয়ে কথা বলে আসলে সকলের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন"। জানিয়ে দিই, দীর্ঘদিন ধরেই লিসিপ্রিয়া জলবায়ু পরিবর্তন আইন কার্যকর করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি সাংসদদের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে।
কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে লক্ষ্য করে টুইট করে লিসিপ্রিয়া কাঙ্গুজাম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে তাঁর বার্তা ছিল, "মাননীয় নরেন্দ্র মোদিজি, আমার কথা সংসদে তুলতে ধরতে না পারলে নারী দিবস উদযাপনেও আমাকে অংশীদার করবেন না । আমি কৃতজ্ঞ আপনার কাছে, কারণ অনুপ্রেরণা প্রচার কর্মসূচির অংশ হিসাবে আমার নাম রাখার বিবেচনা করেছেন আপনি। কিন্তু আমি এই সম্মান ফিরিয়ে দিচ্ছি" ।