দাঙ্গা লাগানোর অপরাধে গত ১৯ ডিসেম্বর সাদাফ জাফরকে লখনউয়ের পরিবর্তন চক থেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
হাইলাইটস
- দাঙ্গা লাগানোর অপরাধে গত ১৯ ডিসেম্বর সাদাফকে লখনউ থেকে গ্রেফতার করা হয়
- সে সময় তিনি ফেসবুক লাইভ করছিলেন।
- মঙ্গলবার জামিন পান ওই সমাজকর্মী।
লখনউ: "আমাকে পেটে লাথি মেরে বলা হয়েছিল পাকিস্তানে (Pakistan) যাও।" জামিনে, জেল থেকে ছাড়া পেয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন উত্তরপ্রদেশের সমাজকর্মী সাদাফ জাফর। মঙ্গলবার তিনি পুলিশি হেফাজতে হওয়া নির্যাতন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন; "আমাকে এক মহিলা পুলিশকর্মী চড় মারেন। তখন থানায় উপস্থিত আরও এক পুলিশ এগিয়ে এসে বলেন আমি ইনস্পেকটর। এই পরিচয় দিয়েই আমার পেটে লাথি মারেন তিনি।" তাঁর অভিযোগ যে বা যাঁরা আমার সঙ্গে দেখা করতে হজরতগঞ্জ থানায় আসতেন, তাঁদেরও আটক করা হত। "ওই থানা যেন আমার কাছে বিভীষিকা ছিল," এদিন বলেন তিনি।সূত্রের খবর, দাঙ্গা লাগানোর অপরাধে গত ১৯ ডিসেম্বর সাদাফ জাফরকে লখনউয়ের পরিবর্তন চক থেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সে সময়ে তিনি সিএএ (CAA)-র প্রতিবাদে ফেসবুক লাইভ করছিলেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, নামের জন্য আমাকে পাকিস্তানী বলা হয়েছে। এবং আমার ওপর শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে। সেই আন্দোলনের সময় এক মহিলা পুলিশের বাইক পোড়ানো হয়েছিল। তার দায় আমার ঘাড়ে চাপিয়ে ওই মহিলা পুলিশকর্মী বলেছিলেন, এর বদলা আমি নেবো। সেদিন থানায় যারা ছিলেন, তাদেরকে গুণ্ডাবাহিনীর সঙ্গে তুলনা করে সাদাফ জাফর এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, ১৯ ডিসেম্বর রাতে আমাকে বলা হয়েছিল, আইজি সাহেব আমার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছে। আমি ভেবেছিলাম আইজি সাহেব আমাকে সাহায্য করবেন, পরিবারকে খবর দেবেন।আমি ওই ইন্সপেক্টরের ঘরে গেলাম। তারপরেও আমাকে নিগ্রহ করা হয়েছিল। এরপর আমাকে মারতে একজন মহিলা পুলিশকর্মীকে ডাকা হয়েছিল। তাতেও তিনি সন্তুষ্ট হয়নি। আমার চুলে মুঠি ধরে আমার পেটে লাথি মেরেছিল। ওই ঘরে কেউই পুলিশের ব্যাজ পরে ছিল না, এনডিটিভির কাছে অভিযোগ করেন ওই সমাজকর্মী।
এদিকে লখনউতে সেই আন্দোলন চলাকালীন সমাজকর্মী ও প্রাক্তন আইপিএস এস আর দারাপুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এদিন তিনিও জামিন পান। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন," আমাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ বলেছে, আমি নাকি পার্কের প্রতিবাদ সভায় ছিলাম। এরপর ঠাণ্ডার জন্য আমি কম্বল চাই আর খাবার চাই। কিন্তু সেসব আমাকে দেওয়া হয়নি। লখনউ পুলিশের এহেন আচরণ ন্যাক্কারজনক।" আমি জামিন পেয়েছি বটে, কিন্তু এখনও যাঁরা বন্দী, তাদের মুক্তির জন্য আমার লড়াই চলবে, জানিয়েছেন ওই প্রবীণ আইপিএস।