গত 31 শে ডিসেম্বর পুণের ভীমা করেগাওঁতে অশান্তির সৃষ্টি হয়
হাইলাইটস
- ভীমা করেগাওঁতে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার হন সুধা ভরদ্বাজ
- মাওবাদীদের সঙ্গে যোগ আছে সন্দেহ করে সুধা সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে পু
- আদালত নির্দেশ দেয় এ মাসের 30 তারিখ পর্যন্ত গৃহবন্দি অবস্থায় থাকবেন সুধা
নিউ দিল্লি: বিস্তর নাটকের পর আপাতাত গৃহবন্দি অবস্থায় থাকবেন সুধা ভরদ্বাজ। এ মাসের 30 তারিখ পর্যন্ত তাঁকে কোথাও নিয়ে যেতে পারবে না পুণে পুলিশ। এই মানবাধিকার কর্মী তথা আইনজীবীকে পুণের ভীমা করেগাওঁতে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁর ফরিদাবাদে বাড়ি গিয়ে মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।কিন্তু হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় সুধাকে ফরিদাবাদের বাইরে নিয়ে যাওয়া যাবে না। তাঁর আইনজীবীদের দাবি হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করার চেষ্টা হয়েছিল পুলিশের তরফে। শুধু তাই বেশ কিছুটা সময় তাঁর খোঁজও পাওয়া যাচ্ছিল না । এমতাবস্থায় ফের আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবতে শুরু করেন সুধার আইনজীবীরা। কিন্তু তার আর দরকার পড়েনি। কিছুটা সময় বাদে তাঁর সন্ধান মেলে। স্থানীয় ম্যাজিস্ট্রেটের হস্তক্ষেপে গভীর রাতে সমস্যার সমাধান হয়। ঘটনা সম্পর্কে সুধার দুই আইনজীবী সঞ্জীব চৌধুরী এবং বৃন্দা গ্রোভার জানিয়েছেন, পুলিশের আচরণ আদালত অবমাননার সামিল।
গত 31 ডিসেম্বর মাসে পুণের ভীমা করেগাওঁতে অশান্তির সৃষ্টি হয়। সেদিন ছিল দলিত বিজয় দিবস। সেই উৎসবকে কেন্দ্র করেই ছড়ায় গোলমাল। ওই ঘটনার তদন্তে মাওবাদীদের যোগ আছে বলে দাবি পুলিশের। শুধু তাই নয় এদিন হায়দরাবাদ থেকে শুরু করে মুম্বই, দিল্লি এবং ফরিদাবাদে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কয়েকজন বুদ্ধিজীবী এবং মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ মনে করে এঁদের সঙ্গে যোগ আছে মাওবাদীদের। তাঁদেরই একজন সুধা। তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়। গোটা ঘটনায় বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহ জানিয়েছেন, মহাত্মা গান্ধির জীবনীকার হিসেবে আমি বিশ্বাস করি তিনি জীবীত থাকলে আজ সুধার হয়ে আদালতে সওয়াল করতেন। আর এই কারণে মোদী সরকার হয়ত তাঁকেও আটক বা গ্রেফতার করত।