লালবাজারের লক-আপে বিজেপি কর্মীরা। (সৌজন্যেঃ বিজেপির মিডিয়া সেল থেকে প্রাপ্ত)
কলকাতা: পুলওয়ামায় ভয়াবহ জঙ্গিহানার পর ইডেন গার্ডেনে পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সহ অন্যান্য পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ছবি রাখা যাবে না বলে রীতিমত ধস্তাধস্তি করে শনিবার বিকেলে ভারতীয় জনতা পার্টির যুব মোর্চার কর্মীরা স্টেডিয়ামের ভিতর ঢোকার চেষ্টা করে। রাজ্য পুলিশের সদর দফতর লালবাজারের কন্ট্রোল রুম থেকে এক পুলিশকর্তা জানান, “৬০ জন ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা সমর্থক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি) চত্বরে জোর করে প্রবেশ করার চেষ্টা করেছিল। তাদের প্রত্যেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে”। ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সমর্থকরা বাবুঘাট থেকে মিছিল করে এসে স্টেডিয়ামের সামনে দাঁড়িয়ে ছবিগুলো সরানোর দাবি করতে থাকে।
পরে সিএবি সভাপতি তথা প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ওই ছবিগুলি সরানো হবে কি না, তা নিয়ে খুব তাড়াতাড়িই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
“আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। খুব শীঘ্রই এটি নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে”, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন সৌরভ।
একদিন আগেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই একই দাবি করে ইডেন গার্ডেন পর্যন্ত মিছিল করেন দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে।
আরও পড়ুনঃ বিষাক্ত মদ কাড়ল ৬৬ জন চা শ্রমিকের প্রাণ, আসামের হাসপাতালে ভর্তি আরও ২০০
সিএবি-র দেওয়ালে ইমরান খান ছাড়াও টাঙানো রয়েছে ওয়াসিম আক্রম, ইন্তিখাব আলম এবং রামিজ রাজার ছবি। সম্প্রতি, বিসিসিআই তার মুম্বাইয়ের সদর দফতর থেকে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ছবি সরিয়ে নেয়।
এছাড়া, মুমবাইয়ের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন, পাঞ্জাবের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন, রাজস্থানের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এবং হিমাচল প্রদেশের ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনও তাদের দফতরের দেওয়াল থেকে নামিয়ে দেয় পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের পোস্টার।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় ভয়াবহ জঙ্গি হানার পর ৪০ জনের বেশি সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে তুমুল নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এই হানার দায় স্বীকার করেছে পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। পাকিস্তানের মাটি থেকেই ওই জঙ্গি সংগঠন নিজেদের কার্যকলাপ বছরের পর বছর ধরে চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। এই ব্যাপারে বহুবার প্রমাণও দিয়েছে ভারত। তবু, পাকিস্তান তেমন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি এতদিন। অবশেষে শুক্রবার জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতরগুলির দখল নিয়েছে পাক সরকার।