Delhi Violence: একটি মুসলিম সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর শান্তির লক্ষ্যে বার্তা দেন রজনীকান্ত
হাইলাইটস
- দিল্লির হিংসা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন দক্ষিণের অভিনেতা রজনীকান্ত
- অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ বলেন, শান্তি ফেরাতে যে কোনও ভূমিকা নিয়ে প্রস্তুত
- রাজধানীর ওই হিংসার ঘটনার বলি কমপক্ষে ৪৬ জন
চেন্নাই: সম্প্রতি সাম্প্রদায়ির হিংসায় (Delhi Violence) উত্তাল হয়েছে দেশের রাজধানী দিল্লি, একের পর এক মানুষ এই হিংসার বলি হয়েছেন। দিল্লির এই হিংসার (Delhi Violence News) ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন তামিল চলচ্চিত্রের সুপারস্টার ও রাজনীতিবিদ রজনীকান্ত। তিনি একথাও বলেন যে, প্রয়োজনে দেশের শান্তি বজায় রাখতে তিনি যে কোনও ভূমিকা নিতে প্রস্তুত। দিন কয়েক আগে একটি মুসলিম সংগঠনের কয়েকজন নেতা তাঁর বাসভবনে গিয়ে থালাইভার (Rajinikanth) সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দেশের বিদ্বেষের পরিবেশ নিয়ে আলোচনা করেন। তারপরেই অভিনেতা একটি টুইট করে এই প্রস্তাব দেন। তিনি নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে লেখেন, "দেশে শান্তি বজায় রাখতে আমি যে কোনও ভূমিকা নিতে প্রস্তুত। আমিও মুসলিম সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে একমত যে একটি দেশের মূল লক্ষ্য থাকা উচিত প্রেম, ঐক্য এবং শান্তি বজায় রাখা"।
রজনীকান্তের এই বার্তার আগেই, মুসলিম সংগঠন ''তামিলনাড়ু জামাতুল উয়ামা সাবাই''-এর কয়েকজন সদস্য তাঁর পোয়েস গার্ডেনের বাসভবনে গিয়ে ৬৯ বছর বয়সী এই অভিনেতার সঙ্গে দেখা করে দেশের হিংসা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
দিল্লিতে আরও তিনজনের দেহ উদ্ধার, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬
গত সপ্তাহে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ নিয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ থেকেই এই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় গোটা সপ্তাহ ধরে দেশের রাজধানীতে এই হানাহানি চলে। ওই হিংসার বলি এখনও পর্যন্ত ৪৬ জন এবং আহত হয়েছেন দুশোরও বেশি মানুষজন।
গত সপ্তাহেই, রজনীকান্ত দিল্লির এই হিংসা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন যে, প্রয়োজনে "লোহার মতো দৃঢ় হাত" দিয়ে এই ধরণের সহিংসতা ছড়িয়ে পড়া আটকানো উচিত ছিল কেন্দ্রের। পাশাপাশি তিনি বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন যে যদি এই ধরণের হিংসা পরিস্থিতি আটকাতে সক্ষম না হন কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা, তবে তাঁদের "পদত্যাগ করা উচিত এবং ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়া উচিত"।
দিল্লিতে অশান্তির খবরে আতঙ্ক, গুজবে কান দেবেন না, বার্তা পুলিশের
নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে ও বিপক্ষে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের মধ্যে দিয়েই দিল্লিতে ওই হিংসার সূত্রপাত। যে সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতে আসেন, সেই সময় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেশের রাজধানী, খুব দ্রুত সেই পরিস্থিতি হাতের নাগালের বাইরে চলে যায়, মধ্যরাতে হস্তক্ষেপ করে দিল্লি হাইকোর্ট, পুলিশকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
দিল্লিতে হিংসার ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করতে দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখার অধীনে দুটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত দিল্লির হিংসা পরিস্থিতির কারণে মৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬-এ।