কলকাতা: মারাত্মক অভিযোগ পরিচালক Arindam Sil-এর দিকে। তাঁর বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন অভিনেত্রী Rupanjana Mitra। অভিনেত্রীর দাবি, 'ভূমিকন্যা' ধারাবাহিকে কাজের অফার দিয়েছিলেন পরিচালক। প্রথম এপিসোডের চিত্রনাট্য পড়ার সময়েই নাকি তাঁর সঙ্গে অসংযত আচরণ করেন অরিন্দম। তারপরেও ধারাবাহিকে কাজ করেছেন তিনি। এবং এক বছর পরে তিনি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন পরিচালকের দিকে। ঘটনা সত্যি? কী বলছেন অরিন্দম?
‘কোন গোপনে মন পুড়েছে' ঋতাভরীর? ফাঁস হল সোশ্যালে
মুঠোফোনে ধরতেই হালছাড়া গলা পরিচালকের। প্রথমেই পাল্টা প্রশ্ন করলেন, 'এসব কী? একবছর পরে এসব কী বলছেন রূপাঞ্জনা? ওঁর সঙ্গে যথেষ্ট সুস্থ পেশাগত সম্পর্ক ছিল। চিত্রনাট্য নিয়ে আলোচনার পরের দিনই রূপাঞ্জনা জানান, উনি খুশি আমার সঙ্গে কাজ করতে পেরে। সেকথা রূপাঞ্জনা নিজে হোয়াটস অ্যাপ করে জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ওয়ার্কশপ করে কাজে নামবেন। আগের দিনেই যদি উনি আমার কাছে অপমানিত হন তাহলে পরের দিন আমাকে এরকম হোয়াটস অ্যাপ পাঠালেন কেন! আমারও তো মেয়ে, বউ রয়েছেন। সমাজে সম্মান রয়েছে!' দেখুন হোয়াটস অ্যাপের সেই স্ক্রিনশট:
রূপাঞ্জনাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। কিন্তু সূত্রের খবর, চুক্তিবদ্ধ থাকায় চ্যানেলের সম্মান বাঁচাতেই তিনি মুখ বন্ধ রেখেছিলেন। এই কথার প্রত্যুত্তরে অরিন্দমের জবাব, ''তাই যদি হবে তাহলে মুখ খুলতে এক বছর লেগে গেল! রূপাঞ্জনার সঙ্গে এর পরেও অনেকবার কথা হয়েছে। আমার ছবিতে কাজ দেবার অনুরোধ জানিয়েছেন। আমিও বলেছি, তুমি ভালো অভিনেত্রী। তোমায় নিশ্চয়ই কাজ দেব। আমার 'সত্যমেব জয়তে' দেখে প্রশংসা করেছেন। 'মিতিন মাসি' দেখতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। সেই নিয়েও কথা হয়েছে হোয়াটস অ্যাপে। তারপর কোনও যোগাযোগ ছিল না।'' দেখুন সেই হোয়াটস অ্যাপের স্ক্রিনশট:
একই সঙ্গে তিনি এও বলেন, 'আমি কোনোদিন ফাঁকা অফিসে কাউকে ডাকি না। সব সময়েই লোক থাকে সেখানে। সেদিনও অ্যাকাউন্টসের লোক ছিল। তাছাড়া আমার স্ত্রীও ছিলেন। এভাবে যা খুশি একটা মানুষ সম্বব্ধে বলা যায়! রূপাঞ্জনাকে নিয়ে কথা বলার প্রবৃত্তি আমার আর নেই।' ঘটনার সত্যাসত্য অবশ্যই সময় বলবে। তবে রূপাঞ্জনা-অরিন্দমের এই বাকযুদ্ধ একটাই প্রশ্ন জাগাচ্ছে, পাশ্চাত্যের #metoo আন্দোলন কি আরব সাগরের ঢেউয়ে ভিজে এবার আছড়ে পড়তে চলেছে গঙ্গাপাড়ে?