Read in English
This Article is From Aug 06, 2019

সংসদে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে বলতে গিয়ে কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে ফেললেন অধীর চৌধুরী

Kashmir Article 370: কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে ফেললেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি জানান, জম্মু ও কাশ্মীর কোনও অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by , Translated By

Article 370 Jammu and Kashmir: অধীরের মন্তব্যে হতাশ সোনিয়া ও রাহুল

Highlights

  • মঙ্গলবার লোকসভায় জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে বক্তব্য রাখেন অধীর চৌধুরী
  • অমিত শাহর বিরোধিতা করেন তিনি
  • ৩৭০ ধারা রদ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন তিনি
নয়াদিল্লি:

জম্মু ও কাশ্মীরে (J&K) ৩৭০ ধারা (Article 370) রদ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে ফেললেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। মঙ্গলবার লোকসভায় জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন, তিনি জানিয়ে দেন, জম্মু ও কাশ্মীর কোনও অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বক্তব্যের বিরোধিতা করতে গিয়ে এই কথা বলেন তিনি। মঙ্গলবার অমিত শাহ (Amit Shah) জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা রদের বিষয়ে লোকসভায় বিবৃতি দেন। জম্মু ও কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' তুলে দিয়ে তাকে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে রূপান্তরিত করার কথা জানানো হয় ওই বিলে। সোমবার বিলটি পাস হয়ে গিয়েছে রাজ্যসভায়।

অমিত বক্তব্যের বিরোধিতায় বক্তব্য রাখেন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি জানতে চান পাক অধিকৃত কাশ্মীর প্রসঙ্গে সরকারের অবস্থান কী। তিনি সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরকে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার প্রস্তাব দিয়ে সরকার সমস্ত আইন ব্যবস্থাকে জানলা দিয়ে বাইরে ফেলে দিয়েছে।

নীরবতা ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা রদ নিয়ে টুইট রাহুল গান্ধির

Advertisement

অমিত শাহ অধীরকে বলেন, ‘‘সাধারণ বিবৃতি দেওয়া উচিত নয়। এটা দেশের বৃহত্তম পঞ্চায়েত। দয়া করে আমাদের বলুন কোন আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। আমি তার উত্তর দেব।''

তখনই অধীর বলেন, ‘‘আমি মনে করি না আপনারা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কথা ভাবছেন। আপনারা সমস্ত আইন লঙ্ঘন করে একটি রাজ্যকে রাতারাতি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করছেন।''

Advertisement

‘জম্মু ও কাশ্মীর বললে আমি পাক অধিকৃত কাশ্মীরও বুঝি'': বিরোধীদের জানালেন অমিত শাহ

তিনি আরও বলেন, ‘‘আপনি বলছেন এটা আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। কিন্তু এটা ১৯৪৮ সাল থেকে নজরে রেখেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। তাহলে এটা অভ্যন্তরীণ ব্যাপার কী করে হয়? আমরা সিমলা চুক্তি এবং লাহোর ঘোষণায় সই করেছিলাম, সেটা কি অভ্যন্তরীণ বিষয় ছিল, নাকি দ্বিপাক্ষিক? জম্মু ও কাশ্মীর কি তাহলে অভ্যন্তরীণ বিষয় হতে পারে? আমরা জানতে চাই। পুরো কংগ্রেস পার্টি আলোকপ্রাপ্ত হতে চায়।''

Advertisement

অধীরের প্রশ্নের উত্তরে অমিত শাহ চেঁচিয়ে বলেন, ‘‘আপনি জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের অখণ্ড অংশ মনে করেন না? কী বলছেন আপনি? জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অখণ্ড অংশ। যখনই আমি জম্মু ও কাশ্মীর বলি তার মধ্যে পাক অধিকৃত কাশ্মীরও পড়ে। আমি আক্রমণাত্মক হচ্ছি, কেননা আপনি বলছেন আপনি মনে করেন না পাক অধিকৃত কাশ্মীর জম্মু ও কাশ্মীরে নেই। আমরা এর জন্য প্রাণও দিতে পারি।''

‘‘আমি এটা অত্যন্ত পরিষ্কার করে দিতে চাই, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অখণ্ড অংশ। এনিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এবং কোনও আইনি সমস্যাও নেই।''

Advertisement

যখন এই বিবৃতি রাখছেন অমিত, তখন সরকারের বেঞ্চ থেকে ‘‘ভারত মাতা কি জয়'' ও ‘‘বন্দেমাতরম'' স্লোগান ভেসে আসতে থাকে।

পরে অধীর জানান, তাঁকে ভুল বোঝা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আমি কেবল মাত্র সরকারের ব্যাখ্যা চেয়েছিলাম। সরকার সেটাকেই ইস্যু করতে চাইছে। আপনারা যদি শোনেন আমি কী বলেছি তাহলে দেখবেন আমি পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে জানতে চেয়েছিলাম।''

Advertisement

সূত্রানুসারে জানা যাচ্ছে, অধীরের এহেন মন্তব্যে চটেছেন সোনিয়া গান্ধি ও রাহুল গান্ধি। মঙ্গলবার সকালে একটি বৈঠকে ঠিক হয়, এই ইস্যুতে দলের অবস্থান কী হবে। কিন্তু অধীর সেই অবস্থানকে অন্য দিকে নিয়ে যাওয়ায় অমিত শাহ সুযোগ পেয়ে যান কংগ্রেসকে আক্রমণ করার।

রাহুল গান্ধি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তিনি এই বিষয়ে কোনও কথা বলবেন না লোকসভায়।

Advertisement