সিনেমায় শাহরুখ বলেছিলেন, কোনও জিনিসকে মনে প্রাণে চাইলে সারা পৃথিবী ওই বিষয়টাকে যেন পাইয়েই দেয়। সিনেমার কথা জীবনে অনেকের ফলেছে, আসলে সিনেমা তো জীবন থেকেই। আর তাই তো ৪১ বছর পরেও দেশে ফিরে ফেলে আসা মাকে খুঁজে পেলেন ডেভিড। ডেনমার্কের বাসিন্দা ডেভিড নীলসন তার মাকে খুঁজেছেন বহুকাল ধরেই। গত ৬ বছর ধরে তার মা ধনলক্ষ্মীর খোঁজ শুরু করেন ডেভিড। নানা ভাবে খোঁজ করে অবশেষে মানালিতে তার মায়ের সন্ধান মেলে। সুদূর ডেনমার্ক থেকে সোজা মানালি মায়ের কাছে চলে আসেন ডেভিড। ভারতীয় মায়ের বিদেশি সন্তান। আসলে নামটুকুই বিদেশি, এর পিছনে রয়েছে এক মন খারাপ করা গল্প।
আরও পড়ুনঃ Viral Photo: বিয়ে করেই কাদায় ঝাঁপিয়ে ওয়েডিং শ্যুট! দম্পতির আজব থিমের ছবি ভাইরাল
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার খবর অনুযায়ী, ডেভিড তার মায়ের সঙ্গে তমিলনাড়ুর পল্লাভরমের একটি শিশুদের হোমে রইতেন। ওই হোমে ডেভিডের মাকে না জানিয়েই দত্তক দিয়ে দেওয়া হয় তাকে এবং যখন ডেভিডের বয়স মাত্র ২ বছর তাকে ডেমনমার্কের এক দম্পতি দত্তক নিয়ে বিদেশে চলে যান। ডেভিডের বয়স এখন ৪৩, পেশায় বন্ড ট্রেডার। মায়ের একটি সাদা কালো ছবির সাহায্যেই তাকে খুঁজে পান ডেভিড। ডেভিড নীলসন বলেন, “এটি আমার জন্য খুব আবেগময় মুহূর্ত।" নিজের বন্ধু এবং পরামর্শদাতাদের সাহায্যেই মাকে খুঁজে পান তিনি।
আরও পড়ুনঃ Solar Eclipse 2019: বছর শেষে আগুনের আংটি! ভারতের কোথায় দেখা যাবে এই সূর্যগ্রহণ?
ডেভিড প্রথমবার নিজের মায়ের সঙ্গে অক্টোবর মাসে ভিডিও কলে কথা বলেন। ধনলক্ষ্মী মানালিতে লোকজনের বাড়িতে কাজ করেন এবং তার সর্বকনিষ্ঠ সন্তান সরবাননের সঙ্গেই থাকেন। চেন্নাই কর্পোরেশনের তথ্য অনুসারে ডেভিডের জন্ম হয় ১৯৭৬ সালের ৩ অগাস্ট এবং তার মা বাবার নাম ধনলক্ষ্মী এবং কালিয়ামূর্তি।
ধনলক্ষ্মী এবং তার স্বামীর অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় তারা নিজেদের দুই সন্তানকে পল্লভারমের চাইল্ড হোমে দিয়ে দেন এবং তিনি নিজেও সেখানেই থাকতে শুরু করেন। একদিন সেখানকার প্রশাসন ধনলক্ষ্মীকে ওই হোম ছাড়তে বলেন। তারা জানান, তার সন্তানকে অন্য কেউ দত্তক নিয়েছেন। তাদের পরে আরও জানানো হয় যে তাদের দুই সন্তান ডেনমার্কে ভালোই রয়েছে। মাকে খুজে পাওয়ার পরে ডেভিড তার বড় ভাই রাজন সম্পর্কে জানতে চান। তিনি জানতে পারেন রাজনকে ডেনমার্কেরই এক পরিবার দত্তক নিয়েছিল এবং রাজনের নাম এখন মার্টিন ম্যানুয়েল রসমুসেন।