নিউ দিল্লি:
এ যেন রাখে 'হরি', মারে কে! সব উত্তেজনার অবসান। রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে সহজ জয় পেল এনডিএ সরকার। নতুন ডেপুটি চেয়ারম্যান হলেন জনতা দল ইউনাইটেডের প্রার্থী হরিবংশ নারায়ণ সিংহ।
নির্বাচন শুরু আগে, সরকারের দাবি করেছিল তাদের কাছে নবীন পটনায়কের বিজেডি সহ মোট 125’টি ভোট রয়েছে। বেশ কয়েকটি দল ভোটদানে বিরত থাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য মোট আসন সংখ্যা কমে দাঁড়ায় 120’তে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর দলের তিনজন সাংসদ ভোট দেবেন না। এই সব দড়ি টানাটানির ফলে বিরোধীদের ভোটও কমে গিয়ে দাঁড়ায় 110-এ। উত্তেজনা এতটাই ছিল এই নির্বাচন নিয়ে যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি অসুস্থতা সত্ত্বেও সংসদে এসেছিলেন ভোট দিতে।
রইল কয়েকটি জ্ঞাতব্য তথ্য:
নীতিশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেডের প্রথমবারের প্রার্থী হরিবংশ নারায়ণ সিংহের সঙ্গে লড়াই হল কংগ্রেসের বি কে হরিপ্রসাদের। হরিবংশ হারিয়ে দিলেন হরিপ্রসাদকে। এক 'হরি'র সঙ্গে অপর 'হরি'র জয়।
"হরিবংশজিকে আমি রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে মনোনীত জয়ী হওয়ার জন্য অজস্র অভিনন্দন জানাচ্ছি", বললেন প্রধানমন্ত্রী নমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটা ফোনেই বদলে গিয়েছিল নবীন পটনায়কের মন। তাঁর দল এনডিএ'র প্রার্থীকেই সমর্থন দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি। আর, ঠিক এই ফোন না করার কারণেই অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি বয়কট করল এই নির্বাচন। কেজরিওয়াল জানিয়েছিলেন, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী তাঁকে ফোন করলে, তবেই তিনি সমর্থন দেবেন বিরোধী জোটের প্রার্থীকে। কিন্তু, বাস্তবে তা আর হল না।
“রাহুল গান্ধী যদি নরেন্দ্র মোদীকে আলিঙ্গন করতে পারেন, তাহলে তিনি অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে একটা ফোন করে তাঁর দলকে সমর্থন জানানোর জন্য অনুরোধ করেতে পারবেন না কেন”, প্রশ্ন তোলেন আপ-এর রাজ্যসভা সদস্য সঞ্জয় সিংহ।
গত দু’দিনের প্রাণপণ প্রচেষ্টার ফলে দুজন বিক্ষুব্ধ জোটশরিক অকালি দল এবং শিবসেনার মন গলাতে সমর্থ হল বিজেপি।
বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এনডিএ’র প্রার্থী এনডিএ’র 91’টি ভোট ছাড়াও এআইএডিএমকে’র 13’টি ভোট তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির 6’টি ভোট, চারজন নির্বাচিত ও নির্দল প্রার্থীর ভোট পাবে। ওয়াইএসআর কংগ্রেসের 2’টি ভোট পাওয়ারও আশা করছে এনডিএ।
244 সদস্যের রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে গেলে আসন জিততে হবে 123’টি। কিন্তু, কয়েকটি দল ভোটদানে বিরত থাকায় এই সংখ্যা কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
আম আদমি পার্টি ছাড়াও এই নির্বাচন থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখছে ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং মেহবুবা মুফতির পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি।
বিরোধী শিবির বহু দলের সমর্থন পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে, বামদল, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি। বিরোধী শিবিরে নতুন যে দলটি যোগ দিয়েছে, সেটি হল চন্দ্রবাবু নায়ড়ুর তেলুগু দেশম পার্টি। এই বছরের শুরুতেই যারা এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল।
“লড়াই হতেই হবে। এটাই গণতন্ত্র। এবং, সেই কারণেই এই নির্বাচনটি হচ্ছে”, বলেছেন কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা।
.
Post a comment