தமிழில் படிக்க हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Jul 26, 2019

অপর্ণা সেন-দের চিঠির প্রত্যুত্তরে মোদিকে সমর্থন করে পাল্টা চিঠি কঙ্গনা রানাউত-সহ ৬১ জনের

দেশ জুড়ে চলতে থাকা গণপিটুনির ঘটনার প্রতিবাদে দেশের ৪৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি লেখেন। এবার ৬১ জন পাল্টা চিঠি লিখলেন

Advertisement
অল ইন্ডিয়া (with inputs from ANI)
নিউ দিল্লি :

দেশ জুড়ে চলতে থাকা গণপিটুনির ঘটনা ও ‘জয় শ্রী রাম' (Jai Shri Ram) স্লোগান তুলে হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার প্রবণতার প্রতিবাদে দেশের ৪৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) একটি চিঠি (Letter) লেখেন। তিন দিন আগে লেখা ওই চিঠির জবাবে এবার ৬১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব পাল্টা চিঠি লিখলেন। এই খোলা চিঠিতে আগের চিঠির প্রেরকদের আক্রমণ করা হয় ‘‘নির্দিষ্ট ক্ষোভ, মিথ্যা বর্ণনা এবং পরিষ্কার রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব''-এর অভিযোগ তুলে। এই নতুন চিঠিটি লিখেছেন সেন্সর বোর্ডের মুখ্য প্রসূন যোশী, বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত, চিত্র পরিচালক মধুর ভান্ডারকর, অভিনেতা বিবেক অগ্নিহোত্রী এবং ধ্রুপদী নর্তক ও রাজ্য়সভার সদস্য সোনাল মানসিং।

ওই চিঠিতে লেখা রয়েছে, ‘‘একটি খোলা চিঠি যেটি প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৯ সালের ২৩ জুলাই এবং লেখা হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে, সেটি আমাদের বিস্মিত করেছে। উনপঞ্চাশ জন স্বঘোষিত ‘অভিভাবক' ও দেশের ‘চৈতন্যের রক্ষক' তাঁদের নির্দিষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এবং পরিষ্কার রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব ও উদ্দেশ্য দেখিয়েছেন।''

জয় শ্রী রাম বিতর্কে মোদিকে চিঠি লিখলেন অপর্ণা সেন, রামচন্দ্র গুহরা

Advertisement

সেই চিঠিতে আরও লেখা হয় ‘‘আমাদের মতে নীচে স্বাক্ষর করা এই পত্র একটি মিথ্যে বর্ণনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অক্লান্ত প্রচেষ্টাকে নঞর্থক ভাবে দেখাতেই চেষ্টা। এই চিঠির স্বাক্ষরকারীরা অতীতে নীরব ছিল যখন উপজাতি এবং প্রান্তিক মানুষরা নকশাল সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছিল। তখন তাঁরা নীরব ছিল যখন ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছিল।''

মঙ্গলবার, ৪৯ জন বিশিষ্ট জন যাঁদের মধ্যে রয়েছেন স্বনামধন্য পরিচালক অপর্ণা সেন ও মণি রত্নম এবং ঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহ। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে লেখা ওই চিঠিতে উদ্বেগ ‌প্রকাশ করেন দেশজুড়ে ঘৃণাজনিত অপরাধ ও সংখ্যালঘুদের প্রতি নৃশংসতার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Advertisement

নতুন চিঠির লেখকরা মঙ্গলবারের পত্রপ্রেরকদের কড়া সমালোচনা করেন সরকারের নিন্দা করার জন্য। তাঁরা ওই চিঠির বক্তব্যের বিরোধিতা করে দাবি করেন, মোদি জমানাতেই সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতাসহ সরকারের নিন্দা করতে পারছে আমজনতা।

মঙ্গলবারের লেখা চিঠিতে লেখা হয়েছিল ‘‘“প্রিয় প্রধানমন্ত্রী...মুসলিম, দলিতসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পিটিয়ে মারার ঘটনা শীঘ্রই বন্ধ হওয়া দরকার। আমরা ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য দেখে অবাক হয়েছি, সেখানে বলা হয়েছে, ২০১৬-এ নৃশংস এই ধরণের ঘটনার সংখ্যা ৮৪০-এর কম নয়। দোষীদের শাস্তি দেওয়ার হারও নির্দিষ্টহারে কম।”

Advertisement

অপর্ণা সেন বলেন, নির্দিষ্ট কোনও ধর্মের মানুষকে পিটিয়ে মারার ঘটনা নয়, ধর্মের ঊর্দ্ধে উঠে যে কোনও মানুষকেই পিটিয়ে মারার ঘটনা নিয়েই তিনি উদ্বগ্ন। তাঁর কথায়, “মানুষকে পিটিয়ে মারার ঘটনা আমাদের কাছে উদ্বেগের। আমাদের আপত্তি পিটিয়ে মারার ঘটনায়, তিনি মুসলিম হোক বা হিন্দু”। বুধবার একটি সাংবাদি সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

জুন মাসেই ঝাড়খণ্ডে তবরেজ আনসারির হত্যার ঘটনার নিন্দা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, এই ধরনের সমস্ত অপরাধকে একই ভাবে বিচার করা হবে।

Advertisement

গত ১৯ জুলাই এক মুসলিম ব্যক্তিকে জোর করে ‘জয় শ্রী রাম' বলাতে চেয়ে মারধর করা হয়। এক সপ্তাহ আগে উত্তরপ্রদেশের উন্নাও জেলার এক মাদ্রাসার ছাত্রদের ‘জয় শ্রী রাম' বলতে বলে মারধর করার ঘটনা ঘটে।

৪৯ জনের লেখা ওই চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের তরফে এও বলা হয়েছিল, ‘‘আমাদের চিঠির কোনও রাজনৈতিক রং নেই। আমরা শুধু তাঁর (প্রধানমন্ত্রী)হস্তক্ষেপ চাই।”

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ওই চিঠির বক্তব্যকে সমর্থন করে লেখেন, বক্তব্য ‘প্রায় সঠিক।'

Advertisement