১৮ বছরের জন্মদিনই মৃত্যুর কোলে পড়ল হতভাগ্য কিশোর।
ছেলেটি ভাবতেও পারেনি ১৮ বছরের জন্মদিনই (Birthday) তার মৃত্যুদিন হতে চলেছে! লন্ডনের (London) টেমস নদীর তীরে বার্গার জয়েন্টে এসে এসেছিল জন্মদিন পালনে। অর্ডার করেছিল ‘গ্রিলড চিকেন ব্রেস্ট'। কিন্তু রেস্তোরাঁর কর্মীকে জানিয়ে দিয়েছিল, তাঁর দুগ্ধজাত দ্রব্যে অ্যালার্জি (Allergy) থাকার কথা। কিন্তু হতভাগ্য তরুণ ওয়েন কেরি জানত না তার মাংসটিতে বাটার মিল্ক মেশানো হয়েছে। মাত্র কয়েক কামড় খেতেই বিপত্তি। ঠোঁটে অস্বস্তি শুরু। পেটের মধ্যে তোলপাড়। রেস্তোরাঁ ছেড়ে বেরিয়ে আসার পর এক ঘণ্টার মধ্যে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ওয়েন। পরে হাসপাতালে মারা যায় সে। ঘটনা ২০১৭ সালের। ওয়েনের হতভম্ব পরিবার জানতে উদগ্রীব হয়ে পড়ে ঠিক কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছিল।
অবশেষে গত শুক্রবার সাউথওয়ার্ক করোনার্স আদালতে মিলল উত্তর। করোনার ব্রায়নি ব্যালার্ড এক বিবৃতিতে জানান, রেস্তোরাঁর কর্মীকে জানানো সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত খাদ্যজনিত অ্যালার্জির কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওয়েনের। ইউকে প্রেস অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
নজর কাড়তে প্রাণে ঝুঁকি! পাহাড়ে ঝুলন্ত ছবি তুলে নিন্দিত ইনস্টা যুগল
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল খাবারে অ্যালার্জি উৎপাদনকারী কিছু মেশানো হয়নি। কিন্তু ওয়েনের মৃত্যু হয়েছে অ্যালার্জিতেই।
ওয়েনের পরিবারের এক আইনজীবী জানাচ্ছেন, মেনু কার্ডে অ্যালার্জি সংক্রান্ত তথ্য একেবারে তলায় লেখা ছিল। সেটাও খুবই ছোট পয়েন্টে।
বিবিসি সূত্রে জানা যাচ্ছে, রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁরা আশা করেন কোনও ক্রেতা তাঁদের এখানে এলে তাঁর উচিত তাঁর অ্যালার্জি সম্পর্কে জানানো।
কেরির পরিবারের বক্তব্য অ্যালার্জি সংক্রান্ত তথ্য রেস্তোরাঁগুলিক মেনুতে আরও বিশদে দেওয়া উচিত। রেস্তোরাঁর ভিড়ে অনেক সময়ই ক্রেতার পক্ষে এই সম্পর্কে সব কথা বোঝানো সম্ভভ হয় না।
এখন ওই রেস্তোরাঁ সতর্কতা অবলম্বন করেছে তাঁদের অনলাইন মেনুতে। কিন্তু তলায় লিখে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা আপ্রাণ চেষ্টা করলেও এব্যাপারে নিশ্চিত করতে পারছেন না যে তাঁদের পরিবেশিত খাদ্য থেকে কোনও অ্যালার্জি হবে না।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)