নতুন রূপে প্রিয়া সিনেমা হল। (ছবিঃ সংস্থার ফেসবুক পেজ থেকে)
হাইলাইটস
- কয়েকদিন আগেই বসন্ত পঞ্চমী পেরিয়েছে, আর কয়েকদিন বাদেই আসছে বসন্ত উৎসব
- এরই মাঝে বাঙালির কাছে ফিরে এলো তাদের ‘প্রিয়া’
- বৃহস্পতিবার প্রদর্শিত হল কালজয়ী বাংলা ছবি গুপী গায়েন বাঘা বায়েন
কলকাতা: কয়েকদিন আগেই বসন্ত পঞ্চমী পেরিয়েছে, আর কয়েকদিন বাদেই আসছে বসন্ত উৎসব। মানে এক কথায় বসন্ত জাগ্রত দ্বারে। এরই মাঝে বাঙালির কাছে ফিরে এলো তাদের ‘প্রিয়া'। বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড দূরে নিয়ে গিয়েছিল কলকাতার এই অতি পরিচিত প্রেক্ষাগৃহকে। প্রায় ছ' মাস বন্ধ ছিল প্রিয়া। সে সমস্ত ভুলে আবার পথচলা শুরু করল এই সিনেমা হল। নতুন ভাবে সেজে ওঠা সিনেমা হলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশপ্রিয় পার্কের ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে বৃহস্পতিবার রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে প্রিয়া সিনেমার উদ্বোধন করেন তিনি। পরে টলিপাড়ার এক ঝাঁক শিল্পী ফিতে কেটে একসঙ্গে প্রবেশ করেন সিনেমা হলে। আরও পরে হয় সাংবাদিক সম্মেলন।
রিভিউ নগরকীর্তন: জানা নগরের অজানা 'কীর্তন' নিয়ে বড়পর্দায় নগরকীর্তন
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিনেতা প্রজেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় প্রিয়া সিনেমাকে জড়িয়ে থাকা তাঁর একটি অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। তাঁর ছেলে তখন ছোট। এই এলাকায় ক্রিকেট শিখতে আসত সে। খেলতে এসে সিনেমা হলের বাইরে বাবার পোস্টার দেখে শিহরিত হয় সে। ছেলের মুখে সে কথা শুনতে ভাল লেগেছিল অভিনেতারও। শুধু প্রসেনজিৎ নয় অন্যরাও ভাগ করে নিলেন নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা। অনেকেই ধন্যবাদ দিলেন প্রিয়ার কর্ণধার অরিজিৎ দত্তকে। সাধারণত দেখা যায় কলকাতার কোনও প্রেক্ষাগৃহে আগুন লাগলে সেটিকে আর সিনেমা হলের চেহারা দেওয়া হয় না। সেখানে শপিং মল তৈরি হয়ে যায়। অরিজিৎ যে সে পথে হাটেননি সেটা দেখে অনেকেই আনন্দিত হয়েছেন।
কোন বাড়িতে শুটিং হয়েছে জিজ্ঞাসা করলেও সে বলতে পারবে না: কৌশিক গাঙ্গুলি
দর্শকদের জন্য প্রিয়ার দরজা খুলছে শুক্রবার থেকে। তার আগে বৃহস্পতিবার প্রদর্শিত হল কালজয়ী বাংলা ছবি গুপী গায়েন বাঘা বায়েন। এই ছবিটির নির্মাতা দত্ত পরিবার।
বড় পর্দায় গুপী বাঘাকে দেখতে বাঙালি ভিড় করবে না সেটা হতেই পারে না। এদিনও দেখা গেল অনেকেকেই। ১৯৬৯ সালের মে মাসে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবিটি। মানে ৫০ বছরে পা দিলেন পর্দার গুপী-বাঘা। আর সেই কারণেই এই ছবি দেখান হল।