হারের কারণ “পর্যালোচনা” করা হবে বলে জানিয়েছে বিজেপি। (ফাইল)
নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূল প্রকল্প ও কাজ নিয়ে এবার ব্যাপক প্রচারে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, সূত্র মারফৎ এমনটাই জানতে পেরেছে NDTV। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের দলের ব্যাপক পরাজয়ের পরদিনই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হেয়ছে। ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে (Delhi Assembly election) বিজেপি (BJP) ৩টি আসন পেয়েছিল, এবার সেখান থেকে মাত্র কটি বেড়ে হয়েছে ৮। এবারের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ৭০ আসনের মধ্যে ৬২টিতে জিতেছে আম আদমি পার্টি, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দাবি, গত পাঁচ বছরে রাজ্য সরকারের ভাল কাজের পুরস্কার দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। হারের কারণ “পর্যালোচনা” করা হবে বলে জানিয়েছে ২০ বছর দিল্লিতে ক্ষমতায় না থাকা বিজেপি।
সূত্রের খবর, বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকড় সমস্ত মন্ত্রকে চিঠি লিখে, “সব কাজ, দেশের নাম” (হর কাম, দেশ কে নাম) প্রচার করতে বলেছেন”।
কোনও নতুন মুখ নয়, অপরিবর্তিতই থাকছে টিম-কেজরিওয়াল: সূত্র
টেলিভিশনে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেশজুড়ে এই প্রচার করা হবে, এছাড়াও খবরের কাগজ এবং ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমেও মার্চের ৩১ পর্যন্ত এই প্রচার চলবে।
এই প্রচারের আওতায়, মানুষের দৈনন্দিন জীবনের উন্নয়নে সরকার কী কী পদক্ষেপ করেছে সে সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হবে সাধারণ মানুষকে। প্রত্যেক মন্ত্রকের আধিকারিকদের থেকে তরফে এই পদক্ষেপ সম্পর্কিত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছেন প্রকাশ জাভরেকড়।
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকে হাতিয়ার করে ভোটে লড়েছিল বিজেপি, অন্যদিকে আপের পুঁজি গত পাঁচ বছরের রাজ্য সরকারের কাজের খতিয়ান।
দিল্লি নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির পরে দায়িত্ব ছাড়তে চাইলেন মনোজ তিওয়ারি
ফলাফলের পর, ভাষণে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, কাজের ওপর ভিত্তি করে নয়া ঘৎানার রাজনীতির জন্ম দিয়েছেন দিল্লিবাসী। তিনি বলেন, তিনি বলেন, “দিল্লির মানুষ বার্তা দিয়েছেন যে, তাঁরা স্কুল, মহল্লা ক্লিনিক, ২৪ ঘন্টা জল এবং বিনামূল্যে বিদ্যুৎ এর পক্ষে ভোট দেবেন”।
আজকের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলি দেখতে ক্লিক করুন:
রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশের মতো দিল্লিতেও বিজেপির জাতীয় সমস্যাগুলি তুলে ধরা প্রচারের কৌশল কাজে আসেনি। নির্বাচনের পরে, দলীয় নেতাদের একাংশ উল্লেখ করেন যে, বরং স্থানীয় ইস্যুগুলি তুলে ধরাই ভাল হবে এবং উন্নয়নের দিকে নজর দিলে ভাল হবে।