This Article is From Nov 24, 2019

"স্নলিগস্টার": মহারাষ্ট্রের পালাবদল নিয়ে অচেনা ইংরেজিতে কটাক্ষ শশী থারুরের

Maharashtra: বিহারে নীতীশ কুমার যখন আরজেডি ও কংগ্রেস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএতে ফিরে আসেন তখন প্রথম এই শব্দটি প্রয়োগ করেন থারুর

Maharashtra Government Formation: মহারাষ্ট্র সরকার গঠনের বিষয়ে টুইট করলেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর

নয়া দিল্লি:

মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকারের আচমকা শপথ গ্রহণ (Maharashtra Government Formation) নিয়ে যখন গোটা দেশের রাজনীতিতে তোলপাড় চলছে ঠিক তখনই টুইটারে নিজের পুরনো শব্দব্রহ্ম প্রয়োগ করলেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। ওই রাজ্যের (Maharashtra) রাজনৈতিক ভোলবদলের গোটা ঘটনাকে তিনি (Shashi Tharoor) "স্নলিগস্টার" বা "অনৈতিক কূটনীতি" বলে উল্লেখ করলেন। প্রায় সময়েই নিজের টুইট দিয়ে দেশের রাজনৈতিক বিষয়ে বিভিন্ন তীর্যক মন্তব্য করে থাকেন শশী থারুর। মহারাষ্ট্রের ঘটনার পর তিনি যদিও এর আগে নিজের টুইটে ব্যবহৃত একটি শব্দকেই ফের ব্যবহার করেছেন। লোকসভার কংগ্রেস সাংসদ ২০১৭ সালের জুলাই মাসে নিজেরই করা একটি পোস্ট ফের টুইট করেছেন। ওই টুইটে তিনি "অনৈতিক কূটনীতি" বোঝানোর জন্য "স্নলিগস্টার" (একটি আমেরিকান অপবাদ) শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। মহারাষ্ট্রের ঘটনা বোঝাতে সেটিই আবার ব্যবহার করলেন তিনি।

২০১৭ সালের ২৭ জুলাই নিজের টুইটে শশী থারুর লেখেন: "দিনের মোদ্দা কথা! * স্নলিগস্টার * ... এটি একটি মার্কিন অপবাদ: যা ইঙ্গিত করে একজন অনৈতিক-কূটনীতি সম্পন্ন রাজনীতিবিদকে ... এটির প্রথম ব্যবহার: ১৮৪৫ ...সাম্প্রতিক ব্যবহার: ২৬/৭/১৭-তে"।

অজিত পাওয়ারের বিজেপিকে সমর্থন ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, বললেন শরদ পাওয়ার

শনিবার যেভাবে নিজের দলের মতকে উপেক্ষা করে বিজেপির সঙ্গে গিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে পদ্ম বাহিনীকে সাহায্য করেছেন এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার, সেই বিষয়টি বোঝাতেই ২০১৭ সালে ব্য়বহার করা তাঁর একটি টুইটকেই পুনরায় টুইট করেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর।

"সংশোধন: সর্বাধিক সাম্প্রতিক ব্যবহার: ২৩ নভেম্বর ২০১৯, মুম্বই", নিজের টুইটটি সামান্য সংশোধন করে লেখেন ওই কংগ্রেস সাংসদ।

২০১৭ সালে যখন জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার আরজেডি এবং কংগ্রেস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএতে ফিরে আসেন তখন প্রথম এই শব্দটি প্রয়োগ করে টুইট করেন শশী থারুর।

চমকের পর চমক, মহারাষ্ট্রে শপথ গ্রহণের পরেই 'নিখোঁজ' ৫ বিধায়ক

আরজেডি-কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার মাত্র চার বছর আগে এই নীতীশ কুমারই বিজেপির সঙ্গে প্রায় দুই দশকের দীর্ঘ সম্পর্কে দাঁড়ি টেনে ওই জোটের হাত ধরেছিলেন। পরে সুবিধাবাদী রাজনীতির অঙ্কে ফের এনডিএ-তে ফিরে যান জেডিইউ প্রধান।

২০১৯ সালেও যেভাবে মহারাষ্ট্রে রাতভর নাটক চলার পর বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন এবং এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন সেই বিষয়টিকেই কটাক্ষ করেন শশী থারুর।

.