রাহুল গান্ধি কংগ্রেস সভাপতি পদ ছাড়ার ভাবনা না ত্যাগ করা পর্যন্ত নিজেদের ইস্তফা প্রত্যাহারে অরাজি নেতারা
নয়া দিল্লি: কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ বিবেক তানখা দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই কংগ্রেসের( Congress) অন্য নেতাদের মধ্যেও ইস্তফা(resigned) দেওয়ার হিড়িক পড়ে গেছে। তাঁদের দাবি, যতক্ষণ পর্যন্ত না রাহুল গান্ধি তাঁদের আশ্বস্ত করছেন যে কংগ্রেস সভাপতি(Congress President) পদে তিনিই থাকবেন ততদিন পর্যন্ত ইস্তফা প্রত্যাহারের পথে হাঁটবেন না তাঁরা।দিল্লি ও তেলেঙ্গানা কংগ্রেসের দুই কার্যকরী সভাপতি ইতিমধ্যেই তানখার পথে হেঁটে দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শতাধিক কংগ্রেস নেতাও তাঁদের ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে রাহুল গান্ধির কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁর কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়ার সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা করতে। জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের শোচনীয় ফলের পর থেকেই কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়ার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন রাহুল গান্ধি(Rahul Gandhi)। জানা গেছে, যেভাবে কংগ্রেসের রাজ্যস্তরের বিভিন্ন নেতারা নির্বাচনের হারের দায় স্বীকার না করে দলীয় পদ আঁকড়ে বসে আছেন তাতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ সনিয়া পুত্র।
রাহুল গান্ধির সমর্থনে কয়েকজন কংগ্রেস নেতার পদত্যাগ
বৃহস্পতিবার হরিয়ানার কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে রাহুল গান্ধি(Rahul Gandhi) বলেন দলের হারের পুরো দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে তিনি কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়তে চান।“আমি তো অন্যদেরও পদত্যাগ করতে বলতে পারি না।এটা সম্পূর্ণ তাঁদের উপরেই নির্ভর করছে যে দলের হারের দায়িত্ব তাঁরা নেবেন কিনা”,বলেন রাহুল। বৃহস্পতিবারই রাহুলের(Rahul Gandhi) উদাহরণকে অনুসরণ করে কংগ্রেসের আইন ও তথ্য উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন বিবেক তানখা। ”আমরা দলের বিভিন্ন পদের দায়িত্ব থেকে ইস্তফা(resigned) দিচ্ছি এবং রাহুল গান্ধিকে নিজের একটি দল গড়ার জন্যে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিচ্ছি...দল কখনো দীর্ঘদিন ধরে একজনকে একটি পদের দায়িত্বে রাখতে পারে না”, ট্যুইট করেন তানখা।
“জম্মু কাশ্মীরের এক তৃতীয়াংশ আমাদের সঙ্গে নেই” নেহেরুকে তোপ অমিত শাহের
তিনি আরও যোগ করেন যে,”রাহুলজি, (Rahul Gandhi) দলকে(Congress) পুনরুজ্জীবিত করতে দলের অভ্যন্তরে আমূল পরিবর্তন আনুন, একটি লড়াকু বাহিনী তৈরি করুন।আপনার মধ্যে সেই দায়বদ্ধতা ও দৃঢ়বদ্ধতা রয়েছে।শুধু দেশ জুড়ে একটি সুদৃঢ়,সর্বজনগ্রাহ্য এবং প্রভাবশালী দল গঠন করুন”।
এরপরেই হারের দায়স্বীকার করে দিল্লি কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা(resigned) দেন রাজেশ লিলোঠিয়া ও তেলেঙ্গানা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতির পদ ত্যাগ করেন পুনম প্রভাকর।
“আরও অনেক কংগ্রেস নেতা লোকসভা নির্বাচনে দলের পরাজয়ের দায়স্বীকারে সম্মত হয়ে তাঁদের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন, কেননা হারের দায় একা কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধির(Rahul Gandhi) কাঁধে চাপানো অনুচিত”,বলেন এক প্রবীণ কংগ্রেস নেতা।
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের শোচনীয় হারের পরেই দলের সর্বভারতীয় সভাপতির(Congress President) পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন রাহুল গান্ধি, যদিও তাঁর সেই ইচ্ছায় এখনো সম্মতি দেয় নি দল।কিন্তু নিজের পদত্যাগের সিদ্ধান্তে এখনও অনড় রয়েছেন রাহুল(Rahul Gandhi) ।মনে করা হচ্ছে কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটির আগামী বৈঠকেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।