ডিএনএর প্রমাণ বলে তাঁর আশেপাশের এলাকায় পাওয়া 13 টি লাশের মধ্যে 5 টি লাশের সাথে অবনীই যুক্ত।
নিউ দিল্লি: বিগত দুই বছরে 13 জন ব্যক্তিকে হত্যা করার পর অবশেষে বন দফতরের হাতে নিহত হল বাঘিনী অবনী। গত রাতে মহারাষ্ট্রের যভাতমলে মারা গিয়েছে অবনী, জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট অনলাইন আবেদনগুলিতে সাড়া না দিয়েই জানায়, যে অবনী বা টি 1 (সরকারি পরিচয়) কে দেখা গেলেই গুলি চালানো যেতে পারে।
অবনীর দুই শাবক বেঁচে আছে যাদের বয়স 10 মাস।
প্রায় তিন মাস ধরে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সঙ্গে নিয়ে 150 স্থল কর্মী, হাতি এবং ট্র্যাকার বিশেষজ্ঞ এবং শ্যুটার অবনীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছিল।
টিপেশ্বর ব্যাঘ্র অভয়ারণ্যের আশেপাশে ফরেস্ট অফিসারদের একটি দল সহ ট্র্যাপ ক্যামেরা, ড্রোন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্নিফার কুকুরের দল এবং হ্যাং-গ্লাইডারের সহায়তায় ওই বাঘিনীর খোঁজ করছিল। বন বিভাগ বিতর্কিত প্রাইভেট মার্কসম্যান শাফাত আলি খানকেও এই কাজে নিযোগ করে।
অবনীক প্রথম 2012 সালে যভাতমলের জঙ্গলে দেখা গিয়েছিল। ডিএনএর প্রমাণ বলে তাঁর আশেপাশের এলাকায় পাওয়া 13 টি লাশের মধ্যে 5 টি লাশের সাথে সেই যুক্ত। জীববিজ্ঞানী ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা যারা গত কয়েক বছরে এলাকাটি জরিপ করেছেন তাঁরা জানিয়েছেন যে, সেখানে কেবল একটিই বাঘ রয়েছে, একটি পুরুষ বাঘ। এই বাঘের ডিএনএ লাশের সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে।
গত মাসে, বোম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ একটি পিটিশনে সায় দেয়, যেখানে বাঘিনীকে হত্যা করার পরিবর্তে জীবিত ধরার পরিকল্পনার কথাই বলা হয়েছিল। ওয়াইল্ড লাইফ অ্যাক্টিভিস্ট জেরিল এ বানাইত 11 ই সেপ্টেম্বরের সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মাথায় রেখে জানান, বাঘিনীকে হত্যা করলে তার বাচ্চারা অনাথ হয়ে পড়ে, বদলে বন বিভাগ যদি তাকে জীবিত ধরতে পারে তাহলেই ভালো।