হাগ ডে' তে সেই ভিডিও পোস্ট করে কংগ্রেসের টুইট; "একই বার্তা প্রতিবছর বিজেপিকে দিতে চাই। জড়ানোতে ঘৃণা নেই।"
হাইলাইটস
- একবছরের পুরনো ভিডিও পোস্ট করে বিজেপিকে "হাগ ডে" খোঁচা কংগ্রেসের
- সেই টুইটে বার্তা, "আলিঙ্গনে ঘৃণা নেই"
- সংসদে একবছর আগে প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে অহিংসার বার্তা দিয়েছিলেন রাহুল
নয়াদিল্লি: ঠিক এক বছর আগে সংসদে বাজেট অধিবেশন চলাকালীন অভাবনীয় গান্ধিগিরি দেখিয়েছিলেন রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi)। নিজের আসন ছেড়ে উঠে এসে ট্রেজারি বেঞ্চের সামনের সারিতে বসা প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরেছিলেন (Hugging to PM in Parliament) ওই কংগ্রেস সাংসদ। বিরোধী বেঞ্চ বা কংগ্রেস শিবির সেই দৃশ্য দেখে হেসে উঠেছিল। এরপরে সোশাল সাইটে ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিও। তা থেকে মজাও লুটেছিলেন নেটিজেনরা। এবার একবছর আগের সেই পুরনো ভিডিও টুইটারে পোস্ট করে ফের একবার সেই হাগ ডে'র স্মৃতি উসকে দিল কংগ্রেস (Congress)। ঘটনাচক্রে ভ্যালেন্টাইন্স সপ্তাহ মেনে ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখ হাগ ডে (Hug Day)। গোদা বাংলায় বলতে গেলে প্রিয়জনকে আলিঙ্গনের দিন। সেই দিনেই কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করা ওই ভিডিও আদতে বিজেপির কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে, এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সর্বস্ব দিয়ে দিল্লি দখল করতে পারেনি কেন্দ্রের প্রধান শাসক দল। বিধায়ক সংখ্যা পৌঁছয়নি দুয়ের ঘরে। তথৈবচ অবস্থা কংগ্রেসের। ২০১৫-র ট্রেন্ড মেনে এবারও কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা শূন্য।
Hug Day 2020: গুনগুন বসন্তে আপনার 'জাদু কী ঝাপ্পি'র অপেক্ষায় প্রিয়জন, পাঠান ভালবাসার বার্তা
কিন্তু তারপরেও বিজেপির দিল্লি পরাজয়ের গ্লানিকে উসকে দিতে কসুর করছে না কংগ্রেস। এদিনের পোস্ট করা সেই ভিডিও, তার অন্যতম নিদর্শন, দাবি দলীয় একটা সূত্রের। এদিকে সেই ভিডিও পোস্ট করে হ্যাশট্যাগ ব্যানারে কংগ্রেস লিখেছে, "একই বার্তা বিজেপিকে প্রতিবছর দিতে চাই। আলিঙ্গনে ঘৃণা নেই।"
মূলত, কংগ্রেস ঘৃণা নয় ভালোবাসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। সংসদে এই বার্তা দিতেই অমন গান্ধিগিরি দেখিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। সেই ভিডিও একবছর আগেও এদিন অর্থাৎ ১২ ফেব্রুয়ারি টুইটারে পোস্ট করেছিল শতাব্দী প্রাচীন ওই দল। সেবারও সেই এক বার্তা ছিল; আলিঙ্গনে ঘৃণা নেই। ব্যানার ছিল হ্যাশট্যাগ হাগ ডে। স্মৃতির সরণি উসকে সেই ভিডিও ফের ভাইরাল করল কংগ্রেস।
সেবারও সাধারণ নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন সেই ভিডিওর প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছিল কংগ্রেস। বিজেপির ঘৃণার রাজনীতি বনাম কংগ্রেসের সহিষ্ণুতার রাজনীতির মধ্যে প্রছন্ন ফারাক বোঝাতে, সেই ভিডিওর প্রসঙ্গও উত্থাপন করত কংগ্রেস।