রাঁচির হোটেলে রবিবার রাতে আরজেডির বিধায়ক ও নেতারা তেজপ্রতাপের সঙ্গে দেখা করেন।
হাইলাইটস
- বাবা লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গে দেখা করে পাটনায় ফিরলেন না বড় ছেলে তেজপ্রতাপ
- সোমবার দুপুরে রাঁচির একটি হোটেল থেকে বেরিয়ে যান তেজপ্রতাপ
- পরিবার জানত তিনি পাটনা ফিরছেন কিন্তু তেজ ফেরেননি
পাটনা: বাবা লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গে দেখা করে পাটনায় ফিরলেন না বড় ছেলে তেজপ্রতাপ। স্ত্রীয়ের থেকে বিবাহ বিচ্ছেদ চাওয়া তেজকে ডেকে পাঠান লালু। কিন্তু রাঁচিতে লালুর সঙ্গে দেখা করার পর আর পাটনা ফেরেননি তেজ। পশুখাদ্য সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জেলে আছেন লালু। কিন্তু শারীরিক সমস্যার জন্য আপাতত তাঁর ঠিকানা রাজেন্দ্র ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স। সেখানেই ছেলে তেজের সঙ্গে দেখা করেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী তথা আরজেডি প্রধান। দু'জনের মধ্যে ঘণ্টা দুয়েক কথাও হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে সোমবার দুপুরে রাঁচির একটি হোটেল থেকে বেরিয়ে যান তেজপ্রতাপ। পরিবার জানত তিনি পাটনা ফিরছেন কিন্তু তেজ ফেরেননি।
রাঁচির হোটেলে রবিবার রাতে আরজেডির বিধায়ক ও নেতারা তেজপ্রতাপের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদের তেজ জানান সোমবার তিনি পাটনা ফিরে যাবেন। কিন্তু পাটনায় যান নি তেজ। বাবার সঙ্গে দেখা করেন তিনি বলেছিলেন, দমবন্ধ করা পরিবেশে কেউ বেঁচে থাকতে পারে না।
তেজপ্রতাপ তীর্থস্থানে ঘুরতে ভালবাসেন। বারাণসীর মতো জায়গা তাঁকে বরাবর টানে। আর এটা নিয়েই নাকি স্ত্রীয়ের সঙ্গে তাঁর সমস্যা হচ্ছে। মাত্র কিছু দিন আগেই তীর্থ করতে গিয়েছিলেন বিহারের এই প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেখানে তাঁকে বাঁশি বাজাতেও দেখা গিয়েছিল।
গত মে মাসের 12 তারিখ তেজের সঙ্গে বিহারের এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নাতনির বিয়ে হয়। কিন্তু মাত্র মাস ছয়েকের মধ্যেই সম্পর্ক ভাঙার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হন। এই ব্যাপারটা নিয়েই জলঘোলা হতে থাকে। পরিবাররের তরফে তেজকে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা প্রত্যাহার করে নিতে বলা হয়। রাজি না হওয়ায় তাঁকে ডেকে পাঠান লালু। আর এরই মাঝে তিনি জানান বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছনে না। পারিবারিক ছাড়া রাজনৈতিক পরিসরেও সমস্যা আছে বলে মনে করা হচ্ছে । বিহাররে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা লালুর ছোট ছেলে তেজস্বী যাদবের হাতেই দলের রাশ চলে গিয়েছে সেটাও নাকি মেনে নিতে পারছেন না তেজ। তবে কয়েকদিন আগে তিনই নিজে জানানা ভাই এবং তাঁর মধ্যে কোনও সমস্যা নেই।