তদন্তকারীদের আনুমান সিসিটিভি নেই এমন জায়গা বেছে নিয়েই চলত অত্যাচার।
হাইলাইটস
- চেন্নাইয়ের সেই আবাসনের নিরাপত্তা সামলাবেন আট মহিলা
- নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় আবাসিকরা
- এই আবাসনেই 11 বছরের নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ
চেন্নাই: এঁরা সকলেই নারী। হাতে যদিও তরোয়াল নেই । তবে নিরাপত্তার ভার সামলানোর দায় আছে পুরমাত্রায় ।
কোথায় নিরাপত্তা দেবেন এই নারীরা? আট নারীকে সামলাতে হবে একটা গোটা আবাসন। তাও আবার এমন এক আবাসন যেখানে মাত্র কয়েকদিন আগে ঘটে গিয়েছে এক ভয়াবহ ঘটনা। বছর এগারোর একটি নাবালিকাকে চেন্নাইয়ের এই আবাসনেই দিনের পর দিন গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে আভিযোগ। আর সেই আভিযোগে আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। শ্রীঘরে স্থান পেয়েছে আরও বেশ কয়েকজন। তারপরই নিরাপত্তার ভার পেলেন এই মহিলারা। কয়েকদিন বাদে ঠিক হবে এই মহিলারাই নিরাপত্তা সামলাবেন নাকি দায়িতব দেওয়া হবে অন্য কাউকে।
গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারি হয়ে গেলেও নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় আছেন আবাসিকরা । আগে অবশ্য এমনটা ছিল না। আবাসিকরাই বলছেন কলের মিস্ত্রি থেকে শুরু করে নিরাপত্তা রক্ষীদের জন্য আবাসনের যে কোনও ফ্ল্যাটই ছিল অবারিত দ্বার । কিন্ত একটা ঘটনা পাল্টে দিয়েছে সবকিছু । শুধু নতুন নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করাই নয় আরও বেশি সংখ্যায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর ব্যাপারেও ভাবনা চিন্তা চলছে।
এরই মধ্যে নির্যাতিতাকে শিশু কল্যাণ কমিটির কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে মাদ্রাস আদালত। এই নির্দেশ দেওয়া ছাড়াও চেন্নাইকে পুলিশকে ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতিরা। ওই নাবালিকাকে কেন আগে কমিটির কাছে পাঠানো হয়নি সে কথাই জানতে চায় আদালত।
এদিকে ঘটনার তদন্তে আরও কিছু তথ্য উঠে এসেছে। পুলিশের দাবি ওই নাবালিকার ওপর নির্যাতন প্রথম শুরু করে লিফটম্যান । 66 বছর বয়সী এই ব্যক্তিই বাকিদের ডেকে নিয়ে আসে। তারপর সকলে মিলে পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে অত্যাচার করতে থাকে। এভাবেই চলছিল দিনের পর দিন। আবাসনে সিসিটিভি থাকলেও সেখান থেকে কোনও প্রমাণ জোগাড় করতে পারেনি পুলিশ। তদন্তকারীদের আনুমান সিসিটিভি নেই এমন জায়গা বেছে নিয়েই চলত অত্যাচার।