৯ এবং ১০ মার্চ দোল উৎসব বা হোলি। আর রঙের উৎসব মিটে যাওয়ার পরেই দিল্লির হিংসা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়ে দিলেন স্পিকার ওম বিড়লা। আজ মঙ্গলবার লোকসভায় তীব্র চিৎকার ও বিক্ষোভের মধ্যেই তিনি ঘোষণা করেন, “আপনারা সবাই এই চেয়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে সম্মত হয়েছেন। সরকারও আলোচনার জন্য প্রস্তুত। ১১ তারিখে, দোলের পরে এটি অনুষ্ঠিত হবে।” বিরোধীরা বারেবারেই সংসদে দিল্লির হিংসা নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়ে আসছে। গত সপ্তাহের এই ভয়াবহ হিংসায় দিল্লিতে ৪৮ জনের প্রাণ গেছে। গতকাল বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে সংসদ পুনর্গঠিত হওয়ার পরে অন্য বিষয় নিয়ে কথা বলার সময়ই না হয়ে ওঠায় বিক্ষোভ ও বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় বিরোধীদের মধ্যে।
১০টি পয়েন্টঃ
দোলের পরে আলোচনা করার স্পিকারের যে সিদ্ধান্ত তাতে ক্ষুব্ধ সংসদ সদস্যরা। সদস্যরা চেয়ারে লিফলেট এবং কাগজের বল ছোঁড়াছুড়ি করেন। অনেকেই প্রতিবাদ জানাতে কক্ষের মাঝখানে ছুটে যান।
উত্তেজনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওম বিড়লা হুঁশিয়ারি দেন যে বিরোধী ও ট্রেজারি উভয় পক্ষের সদস্যরা পুরো অধিবেশনের জন্য বরখাস্ত থাকবেন। কিন্তু কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী কক্ষের পাশে ট্রেজারি বেঞ্চগুলির দিকে হেঁটে চলে যান। ফলস্বরূপ তুমুল হইচইয়ের মধ্যে বিজেপি এবং কংগ্রেস সদস্যদের মুখোমুখি লড়াইয়ের পরে, ওম বিড়লা অধিবেশন মুলতবি করেন।
লোকসভায় গতকালের উত্তেজনার পরে স্পিকার ওম বিড়লা আজ সর্বদলীয় বৈঠক করেছেন, যেখানে তিনি জানিয়েছেন যে, দুটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
স্পিকার বলেন, বিরোধী দল বা ট্রেজারি বেঞ্চের কোনও সদস্য কার্যনির্বাহী সময়ে নিয়ম লঙ্ঘনের করলে অধিবেশনের অবশিষ্ট অংশের জন্য তাকে বরখাস্ত করা হবে। স্পিকার সভায় সদস্যদের প্ল্যাকার্ড না নিয়ে আসতেও বলেন।
তিনি বলেন, সদস্যরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সমস্যা যত গুরুতরই হোক না কেন তা প্রশ্নোত্তরের পরেই উত্থাপিত হবে।
সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নেওয়ার পরে, এআইএমআইএম এর আসাদউদ্দিন ওয়াইসি টুইট করেন: “২০০২ এর গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে সংসদ আলোচনা করেছিল এবং দাঙ্গার পরে একদল সংসদীয় প্রতিনিধি প্রেরণ করা হয়েছিল। আর সরকার এখন #DelhiCarnage নিয়ে আলোচনার বিরোধিতা করছে এই দোহাই দিয়ে যে এতে শান্তি বিঘ্নিত হবে।”
“নিয়ম ও পদ্ধতি মেনেই বিতর্কটি যেন হয়... সংসদ সদস্যদের মোটেই কথা বলতে বাধা দেওয়া যায় না,” আসাদ্দউদ্দিন ওয়াইসি অন্য একটি পোস্টে লিখেছেন।
দিল্লির হিংসা কারণে গতকাল সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা বিক্ষোভে সামিল হন। প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানান বিরোধীরা, একাধিক স্থগিতাদেশ জারি হয় অধিবেশনে।
কংগ্রেস, তৃণমূল এবং আপ সদস্যরা দিল্লির হিংসার বিষয়ে সরকারের কাছে জবাব চেয়ে সংসদে গান্ধি মূর্তির কাছে পৃথক পৃথক ধর্না মঞ্চস্থ করেন।
কেন্দ্রীয় বাজেট উপস্থাপনের তিন সপ্তাহ পরে শুরু হওয়া বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধ ৩ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সরকার তার এজেন্ডা উপস্থাপন করবে বলেই আশা করা হচ্ছে, এর মধ্যে বেশ কয়েকটি বিল রয়েছে যার মধ্যে সারোগেসি অন্যতম।
Post a comment