Read in English
This Article is From Jan 11, 2019

প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক আছে সন্দেহ করে ভাইপোকে খুন করল কাকা, দেহ পুঁতে রাখল বারান্দায়!

সম্পর্কে নিজের ভাইপো। কিন্তু সেটা নাকি বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ভয়াবহ কাজটা করার সময়।  ভাইপোকে খুন করল কাকা।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

সন্দেহ ঝেড়ে ফেলতেই জয়প্রকাশের নিখোঁজ হওয়ার খবর পুলিশজে বিজয় দিয়েছিল।

Highlights

  • ভাইপোকে খুন করল কাকা, দেহ পুঁতে রাখল বারান্দায়
  • পাখার মোটর দিয়ে যুবকের মাথায় আঘাত করা হয়েছিল দাবি পুলিশের
  • সন্দেহ এড়াতে নিজেই পুলিশের দ্বারস্থ হয় কাকা বিজয়
নিউ দিল্লি :

সম্পর্কে নিজের ভাইপো। কিন্তু সেটা নাকি বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ভয়াবহ কাজটা করার সময়।  ভাইপোকে খুন করল কাকা। প্রমাণ লোপাট করতে পুঁতে রাখে বারান্দায়।এমনই দাবি পুলিশের।  শেষমেশ ঘটনার তিন বছর বাদে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার হল ওই ব্যক্তি। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের নাম বিজয় কুমার মহারানা।  বাড়ি ওড়িশার গঞ্জাম জেলায়। ২০১২ সাল নাগাদ তার প্রেমিকা কর্মসূত্রে দিল্লিতে চলে আসেন।বিজয়ও সঙ্গে আসে। বছর তিনেক বাদে তার ভাইপো জয়প্রকাশও হায়দরাবাদ থেকে  দিল্লিতে চলে আসেন। জানা গিয়েছে দিল্লির দ্বারকার একটি ভাড়ার  ফ্ল্যাটে একসঙ্গেই থাকতেন তিন জন। বিজয় কাজ করত নয়ডার একটি তথ্যপ্রযুক্তি  সংস্থায়। আর জয়প্রকাশ কাজ করতেন গুরগাঁওর একটি সংস্থায়। আধিকারিকদের অনুমান ধীরে ধীরে জয়প্রকাশের সঙ্গে বিজয়ের প্রেমিকার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হতে থাকে। এই সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে  জয়প্রকাশকে নিজের রাস্তা থেকে  সরিয়ে  দেওয়ার চেষ্টা করে বিজয়। আর সেই মতো ২০১৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ঘুমিয়ে থাকার সময় জয়প্রকাশের মাথায় পাখার মোটর দিয়ে আঘাত করে  বিজয়। মৃত্যুর ব্যাপারে  নিশ্চিত হওয়ার পর নিজের ফ্ল্যাটের বারান্দায় ভাইপোকে পুঁতে দেয় কাকা! তার উপর গাছের চারাও বসিয়ে দেয়।

আসবাবপত্রের বাজারে আগুন, পুড়ে ছাই ১০০ টি বাড়ি

এই ঘটনার সপ্তাহ খানেক বাদে  পুলিশের দ্বারস্থ হয় বিজয়। সে জানায় জয়প্রকাশ বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে  আর ফেরেনি। তখন তদন্ত চালিয়ে তেমন কোনও সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর গত অক্টোবর মাসে ওই আবাসনটিতে কিছু সংস্কারের কাজ হয়। তখনই বারান্দা থেকে উদ্ধার হয় কঙ্কাল। সেটি একটি নীল জ্যাকেটে মোড়ানো ছিল। আবার শুরু হয় তদন্ত। পুলিশ বুঝতে পারে নিজের উপর থেকে  সন্দেহ ঝেড়ে ফেলতেই জয়প্রকাশের নিখোঁজ হওয়ার খবর পুলিশকে বিজয় দিয়েছিল।              

Advertisement

 মালিক বিক্রম সিং পুলিশকে  বলেন বিজয় ছেড়ে দেওয়ার পর ফ্ল্যাটে আরও দুটি পরিবার থেকেছিল। তাঁদের প্রত্যেককে জেরা  শুরু করে পুলিশ। সে সময় বিজয়ের সন্ধান পাওয়া  যায়নি। নিজের মোবাইল নম্বর  পর্যন্ত বদলে ফেলেছিল সে । যোগাযোগ করা যায়নি বাড়ির কারও সঙ্গেও। কয়েকটি সূত্র ধরে  তাঁর খোঁজে ডিসেম্বর মাসে বিশাখাপত্তনমে যায় পুলিশের একটি দল। সেখান থেকে পয়লা জানুয়ারি হায়দরাবাদ যায় পুলিশ। অবশেষে বিজয়ের খোঁজ মেলে।           

 

Advertisement

 

Advertisement