This Article is From Apr 19, 2019

৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও রাহুলের দেখা মিলল না আর তারপর...

গত বুধবার একটি সভাগৃহে সকাল ন'টা নাগাদ রাহুলের অনুষ্ঠান শুরু হয়। তার অনেক আগে ভোর পাঁচটার সময় সেখানে পৌঁছে যায় নন্দন

৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও রাহুলের দেখা মিলল না আর তারপর...

কেরালার ওয়ানড় আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি

হাইলাইটস

  • নন্দনের কথা ফেসবুকে লেখেন তার বাবা
  • সেখান থেকেই কেরালার এক কংগ্রেস নেতার মাধ্যমে খবর পান রাহুল
  • পরদিন মানে সকালে নন্দনের মায়ের কাছে একটি ফোন যায়
কান্নুর:

কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী তার সবচেয়ে পছন্দের মানুষ। সে নিজেকে রাহুলের ভক্ত বলেই মনে করে। কথা হচ্ছে কেরালার সাত বছরের বালক নন্দনকে নিয়ে। ছোট থেকেই রাহুল গান্ধীকে একবার সামনে থেকে দেখতে চায় নন্দন। আর তাই রাহুল যখন কেরালার কান্নুর জেলায় সভা করতে এলেন তখন আর নিজেকে সামলাতে পারেনি ছোট্ট নন্দন। গত বুধবার একটি সভাগৃহে সকাল ন'টা নাগাদ রাহুলের অনুষ্ঠান শুরু হয়। তার অনেক আগে ভোর পাঁচটার সময় সেখানে পৌঁছে যায় নন্দন। ছোট্ট ছেলেকে নিয়ে হাজির হন বাবা-মা। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে তাঁরা ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি। তাই পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় অপেক্ষা করে ফিরে আসতে হয় নন্দনকে। এ কথা ফেসবুকে লেখেন তার বাবা। সেখান থেকে কেরলের এক কংগ্রেস নেতা মারফত খবর পৌঁছে যায় খোদ সভাপতির কাছে। পরদিন মানে বৃহস্পতিবার সকালে নন্দনের মায়ের কাছে একটি ফোন যায়। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে ফোনের ওপার থেকে বলা হয় রাহুল গান্ধী বলছি আপনার ছেলের সাথে কথা বলতে পারি? এভাবেই রাহুলের সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছাপূর্ণ হয় নন্দনের।

e2uimhrg

 .নন্দনের জামায় রাহুলের ছবি।   

 জানা গিয়েছে সেদিন ভোর পাঁচটা থেকে প্রেক্ষাগৃহের বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। নন্দনের পরনে থাকা টি-শার্টে রাহুলের ছবিও ছিল। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে পরিবার। কিন্তু হয়ে ওঠেনি। বাধ্য হয়ে সেদিন খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল নন্দনকে। গোটা ঘটনাটি টুইটার অ্যাকাউন্টে তুলে ধরেছেন কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া প্রধান দিব্যা স্পন্দনা। তিনি লিখেছেন রাহুল গান্ধী নিজের এক বন্ধুকে দিয়ে ফেসবুকে নন্দনের বাবা যা লিখেছিলেন সেটি অনুবাদ করেন। এভাবেই দারুন উদাহরণ তৈরি করেছেন তিনি।

এবার উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি কেরালার ওয়ানড় আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। তিনি জানান বিজেপি যেভাবে ভারতের সংস্কৃতি ধ্বংস করছে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে কেরালায় ভোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তবে বিজেপির দাবি উত্তরপ্রদেশের অমেঠী কেন্দ্রে হারার ভয় পাচ্ছেন বলেই কেন্দ্র কেরালা থেকেও ভোটে লড়ছেন তিনি।

.