Read in English
This Article is From Jan 12, 2020

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সেরেই সিএএ বিরোধী সভায় গেলেন মুখ্যমন্ত্রী

সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সময় আমি তাঁকে বলেছি যে আমরা সিএএ, এনপিআর ও এনআরসির বিরুদ্ধে।’’

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from ANI)

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, ‘‘আমরা চাই সিএএ ও এনআরসি প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক।’’

কলকাতা:

শনিবার রাজভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) সঙ্গে সাক্ষাতের পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)অংশ নিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ আয়োজিত বিক্ষোভে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) ও প্রস্তাবিত এনআরসির (NRC) প্রতিবাদে ওই বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়। সেখানে পড়ুয়াদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী ব‌লেন, ‘‘পড়ুয়ারা প্রতিবাদ করছে। তারা আমাদের দেশের গর্ব। ছাত্র আন্দোলন চিরকাল পথ দেখিয়েছে। আমরা, বাংলায়, এই আন্দোলন প্রথম শুরু করি। গতকাল কেন্দ্রীয় সরকার জোর করে সিএএ-র নোটিশ ইস্যু করেছে। কিন্তু মানুষ তা গ্রহণ না করলে এটা কার্যকরী হবে না। আমরা অবশ্যই এটা কার্যকর হতে দেব না।''

তিনি আরও বলেন, ‘‘কোনও গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ দেশে ধর্ম নিয়ে কোনও রকম বৈষম্যকে মেনে নেওয়া হবে না। আগামীকাল স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন‌। কেউ কেউ দিল্লি থেকে উড়ে আসবেন তাঁর নামের সঙ্গে জড়িয়ে নিজেদের আলোকিত করার জন্য। কিন্তু আমরা বছরভর ওঁর আদর্শ মেনে কাজ করি। মনে রাখবেন, বেলুড় মঠের ভিতরে একটা দরগাও রয়েছে।''

মিলেনিয়াম পার্ক থেকে হাওড়া ব্রিজের লাইট-সাউন্ড প্রকল্প উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

Advertisement

এদিনও মুখ্যমন্ত্রী আরও একবার পরিষ্কার করে জানিয়ে দিলেন, তিনি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করার পক্ষে নন। তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদি আজ কলকাতায় এসেছেন। এবং আমি তাঁকে জানিয়ে দিয়েছি, আমরা সিএএ কার্যকর করব না। অন্যান্য আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিলে আমরা এটা নিয়ে লড়াই করব।''

এদিন বামপন্থী দলগুলিকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘যারা ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে, তাদের আমি বলতে চাই তারাই বিজেপির সবচেয়ে বড় দালাল।''

Advertisement

রাজভবনে প্রধানমন্ত্রী- মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক, সিএএ-এনআরসি ভেবে দেখার পরামর্শ মমতার

ওই বক্তব্য রাখার আগে শনিবারই রাজভবনে প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হন মমতা। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন রাখেন, সিএএ ও এনআরসির প্রস্তাব তুলে নেওয়ার জন্য।

Advertisement

বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সময় আমি তাঁকে বলেছি যে আমরা সিএএ, এনপিআর ও এনআরসির বিরুদ্ধে। আমরা চাই সিএএ ও এনআরসি প্রত্যাহার করে নেওয়া হোক।''

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ২০১৫ সালের আগে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সমালোচকদের মতে, এই আইন বৈষম্যমূলক এবং সংবিধানে বর্ণিত দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির পরিপন্থী। 

Advertisement