হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, 'ফেক নিউজ'-এর ব্যাপারে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করছে তারা
হাইলাইটস
- ভারতই হল গোটা বিশ্বে হোয়াটসঅ্যাপের সবথেকে বড়ো বাজার
- গোটা ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা 20 কোটিরও বেশি
- যার বলি হয়েছে এক ডজনেরও ওপর মানুষ
মুম্বাই: কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জারকে যথেচ্ছভাবে গুজবের মেসেজ এবং উসকানিমূলক তথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হল। সম্প্রতি, হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে যাওয়া উসকানিমূলক মেসেজের ওপর ভিত্তি করে বেশ কিছু হত্যা ও গণপিটুনির ঘটনা ঘটে গিয়েছে গোটা দেশ জুড়ে।
গোটা ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা 20 কোটিরও বেশি। ভারতই হল গোটা বিশ্বে হোয়াটসঅ্যাপের সবথেকে বড়ো বাজার। এই অ্যাপটির মাধ্যমে মিথ্যা খবর, ভিডিও এবং তথ্যের ছড়িয়ে যাওয়া এখন সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুকের কাছে এক বড়ো দুশ্চিন্তার বিষয়।
এখনও পর্যন্ত এই বছরে, শিশু অপহরণকারী নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে যাওয়া ভ্রান্ত মেসেজকে বিশ্বাস করায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভয়াবহ গণপিটুনির ঘটনা ঘটে গিয়েছে। যার বলি হয়েছে এক ডজনেরও ওপর মানুষ।
গত রোববার মহারাষ্ট্রের একটি গ্রামে এমন একটি উসকানিমূলক মেসেজের বয়ানকে বিশ্বাস করেই পাঁচজন নিরপরাধকে পিটিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলে উন্মত্ত জনতা।
“এই ধরনের ঘটনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করার পর হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই এই ধরনের মেসেজের ছড়িয়ে পড়া আটকাতে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন তাঁরা”, মঙ্গলবার একটি কড়া বিবৃতি দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক থেকে এই কথা জানানো হয়।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, হত্যা ও গণপিটুনির ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেবে আদালত ও পুলিশ। কিন্তু, হোয়াটসঅ্যাপে এইভাবে ভ্রান্ত ও উসকানিমূলক বার্তার ছড়িয়ে পড়াও সরকারের পক্ষে একটি গভীর উদ্বেগের ব্যাপার।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, হোয়াটসঅ্যাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ বার্তাবহনকারী পরিষেবার অপব্যবহার করে কেউ যদি ভ্রান্ত ও উসকানিমূলক মেসেজ ফরওয়ার্ড করেন, তাহলে তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ জবাবদিহি করতে বাধ্য নয়।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)