ঘটনার দু’দিন আগে একটি ভিডিও আপলোড করে জঈশ
হাইলাইটস
- এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে ভারত
- হামলার পর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
- নিজেদের মাটিতে সন্ত্রাসবাদকে খতম করতে পাকিস্তানকে বলেছে আমেরিকা
নিউ দিল্লি /শ্রীনগর:
কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। ঘটনার পরে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন শহীদ সেনা জওয়ানদের আত্ম বলিদান ব্যর্থ হবে না। সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি জানিয়েছেন, পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে কোণঠাসা করতে যা যা দরকার সমস্তটাই করবে ভারত। অপরাধীদের যোগ্য শাস্তি দেওয়া হবে। একই সঙ্গে ভারত পাকিস্তানকে যে মোস্ট ফেভার্ড নেশনের তকমা দিয়েছিল তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে । তাছাড়া হামলার নেপথ্যে থাকা জঙ্গি সংগঠন জঈশ- ই-মহম্মদকে রাষ্ট্রসঙ্ঘ স্বীকৃত জঙ্গি সংগঠনের তকমা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ভারত।
রইল দশটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গতকাল কাশ্মীর রক্তাক্ত হয়। প্রায় আড়াই হাজার সেনা জওয়ানকে নিয়ে যাওয়া ৭৮ টি বাসের কনভয়ে হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন। পুলওয়ামার সেই হামলায় একটি স্করপিও ব্যবহার করা হয়েছিল । গাড়িটির মধ্যে ছিল প্রায় ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক।
পুলওয়ামার হামলার অভিঘাত কয়েক কিলোমিটার দূর থেকেও টের পাওয়া গিয়েছিল। ঘটনাস্থলের আশপাশের ১০০ মিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল জওয়ানদের দেহের অংশ।
হামলা চালিয়েছিল বছর বাইশের তরুণ আদিল আহমেদ। এখান থেকে মাত্র দশ কিলোমিটার দূরেই থাকত সে। স্কুল ছুট আদিল জঈশ - ই - মহম্মদে যোগ দেয়।
এই ঘটনার নেপথ্যে গাফিলতির কথা উঠে আসছে। ওই জম্মু - শ্রীনগর হাইওয়ে খারাপ আবহাওয়ার জন্য বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। আবহাওয়া ভাল হওয়ার পর বৃহস্পতিবার ভোরে খুলে দেওয়া হয় রাস্তা। ভোর হতে না হতেই সেনা বাহিনীর আরও একটি কনভয় পাশ করে যায় বলে খবর।
ঘটনার দু'দিন আগে একটি ভিডিও আপলোড করে জঈশ। আফগানিস্তানের সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে একটি গাড়িকে উড়িয়ে দিচ্ছে জঙ্গিরা। সেই হামলা কাশ্মীরেও হবে বলে হুশিয়ারি দেয় জঙ্গিরা।
হামলার পর পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত। ইসলামাবাদকে দিল্লি জানিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসকে মদত করা বন্ধ করুক পাকিস্তান। একই কথা বলেছে আমেরিকাও।
ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিয়েছে আমেরিকা। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে নিজেদের দেশের মাটিতে সন্ত্রাসবাদকে খতম করুক পাকিস্তান। তাদের মদত দেওয়ার পথ থেকেও সরে আসুক ইসলামাবাদ।
হামলার ঘটনার নিন্দা করে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর উদ্দেশে বলেছেন শহিদ সেনা জওয়ানদের আত্ম বলিদান ব্যর্থ হবে না।
যথারীতি হামলার সঙ্গে যোগাযোগ অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ। এক বিবৃতি জারি করে পাক বিদেশ মন্ত্রক বলেছে ভারতের সরকার থেএকে সংবাদ মাধ্যম আমাদের যেভাবে অভিযুক্ত করছে তা ঠিক নয়।
কাশ্মীরে গত একশো বছরে এতবড় হামলা হয়নি। এর আগে বড় ঘটনা বলতে একটা হামলার কথা অনেকেরই মনে পড়ে যাচ্ছে। সেটা ২০০১ সালের ঘটনা। অক্টোবর মাসের ১ তারিখ একটা গাড়িতে বিস্ফোরক বোঝাই করে জম্মু কাশ্মীরের বিধানসভায় ঢুকে পড়ে জঙ্গিদের গাড়ি। সে বছর একই কায়দায় হামলা হয়েছিল দেশের সংসদে। আর তাছাড়া বছর তিনেক আগে উড়ির হামলার কথাও মনে পড়ছে অনেকেরই।
Post a comment