ভারত মাতা কি জয়’- এই স্লোগানকে সামনে রেখেই আক্রমণ প্রতি আক্রমণে জড়িয়ে পড়লেন রাহুল এবং মোদী।
হাইলাইটস
- ‘ভারত মাতা কি জয়’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে তরজায় মোদী- রাহুল
- এই স্লোগানটি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই রাজনীতির পারদ চড়ছিল
- কিছু দিন আগে বিতর্ক উস্কে দিয়েছিলেন বিজেপিঁ সভাপতি অমিত শাহ
নিউ দিল্লি: রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনের শেষদিনের প্রচারে একে অপরের উদ্দেশে তীব্র কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। ‘ভারত মাতা কি জয়'- এই স্লোগানকে সামনে রেখেই আক্রমণ প্রতি আক্রমণে জড়িয়ে পড়লেন রাহুল এবং মোদী। এই স্লোগানটি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই রাজনীতির পারদ চড়ছিল। কিন্তু সেই বিতর্ক থেকে এতদিন দূরেই ছিলেন এই দুই নেতা। এবার সামিল হলেন তাঁরাও। শুরুটা অবশ্য করেন কংগ্রেস সভাপতি। আলোয়ারের জনসভা থেকে রাহুল প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘তিনি প্রতিটি সভাতেই বলেন ভারত মাতা কি জয়। কিন্তু উনি কাজ করেন অনিল আম্বানির জন্য। তাই ওঁর ভাষণের শুরুতেই বলা উচিত অনিল আম্বানির জয়, মেহুল চোকসির জয়, নীরব মোদীর জয়, ললিত মোদীর জয়।
কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের নাম করেও কটাক্ষ করেন রাহুল। তিনি বলেন ৪৫ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১৬ হাজার কোটি টাকা পেয়েছেন সমাজের উচ্চশ্রেণির মানুষ। বীমা যোজনার নাম করে কৃষকের টাকাও বড়লোকদের দেওয়া হয়েছে। এটা বীমা যোজনা নয়, অনিল যোজনা , নীরব মোদী যোজনা, বিজয় মালিয়া যোজনা।
রাজস্থানে বিজেপির জোড়া ধাক্কা, একই দিনে দল ছেড়ে কংগ্রেসে দুই জন প্রতিনিধি
রাহুলের আক্রমণের কড়া জবাব দিয়েছেন মোদী। আলোয়ার থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে শিকড়ের জন্সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেস ফতোয়া দিচ্ছে। ওরা বলছে আমার ভারত মাতা কি জয় বলা উচিত নয়। একথা বলার জন্য ওদের লজ্জা হওয়া উচিত।
কয়েকদিন আগেও এই স্লোগান নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ বলেন, একটি সভায় এক কংগ্রেস কর্মী ভারত মাতা কি জয় বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে সোনিয়া গান্ধি কি জয় বলতে বাধ্য করা হয়। আসলে কংগ্রেস ভারত মাতা কি জয় বলতে লজ্জা পায়।