বসন্ত প্রেমের মাস। মধুমাসে তাই বোধহয় প্রেমের খাতিরে ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়েও ভাঙা যায়! অন্তত তেমনটাই করলেন এই প্রজন্মের এক মেয়ে। বিয়ের আগে গভীর প্রেম ছিল তাঁর গ্রামের এক ছেলের সঙ্গে। কোনও কারণে ভালোবাসা ছাদনাতলা পর্যন্ত পৌঁছোতে পারেনি। এরপর বাড়ির পছন্দ করা পাত্রকেই বিয়ে করতে রাজি হন তেলঙ্গানার (Telangana) ভানপার্টি জেলার চরলাপল্লি গ্রামের সেই মেয়েটি (bride)। বিয়ের আচার প্রায় সম্পূর্ণ। মঙ্গলসূত্র পরাবেন স্বামী। ঠিক তখনই চোখে চোখ পুরনো প্রেমিকের সঙ্গে। এরপরেও চুপচাপ মঙ্গলসূত্র পরে নিতে পারেন কোনও মেয়ে! পারেননি সেই কনেও। বিয়ের পিঁড়ি ছেড়ে সঙ্গে সঙ্গে উঠে পড়েন তিনি। বর, পরিবার, অতিথিরা স্তব্ধ তাই দেখে।
ইংরেজিতে চোস্ত 'ইংলিশ দাদি' গুণে গুণে গোল দিলেন শশী থারুরকে!
ততক্ষণে হইচই শুরু বিয়ের মণ্ডপে। আমন্ত্রিত অভ্যাগত, পাত্র এবং পাত্রীপক্ষের সবাই ততক্ষণে বোঝাতে শুরু করেছেন মেয়েটিকে। বিয়ে প্রায় শেষের পথে। এই সময় বিয়ে ভেঙে দেওয়ার কোনও যুক্তি নেই। কিন্তু প্রেম যুক্তি-বুদ্ধির ধার কবে ধেরেছে!
তখনই গল্পের নয়া টুইস্ট। প্রেমিকাকে বিয়ের পিঁড়ি ছাড়তে দেখেই ভোঁ-কাট্টা প্রাক্তন প্রেমিক! এদিকে পাত্রী বিয়ে ভেঙে উঠে পড়েছেন। মাথায় হাত কনের পরিবারের। খোঁজ চলে পুরনো প্রেমিকের। কিন্তু তিনি ত্রিসীমানায় থাকলে তো! মধু মাস সত্যিই কি এভাবেই ডেকে আনে সর্বনাশ?