২৪ অক্টোবর রাত ২টোর সময় সিবিআই অধিকর্তাকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
হাইলাইটস
- তিন মাসে বাদে নিজের পদে ফিরলেন সিবিআই অধিকর্তা অলোক বর্মা
- সুপ্রিম কোর্টের রায় জানার পর বুধবার সিবিআই দপ্তরের যান অলোক
- ২৪ অক্টোবর রাত ২টোর সময় সিবিআই অধিকর্তাকে ছুটিতে পাঠান হয়
নিউ দিল্লি: তিন মাসে বাদে নিজের পদে ফিরলেন সিবিআই অধিকর্তা অলোক বর্মা। সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবারই জানায় তাঁকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া ঠিক হয়নি। এই মর্মে কেন্দ্রের নির্দেশিকা খারিজও করে দেয় শীর্ষ আদালত। সেই রায় জানার পর বুধবার সিবিআই দপ্তরের যান অলোক। তাঁর জায়গায় সিবিআইয়ের অন্তর্বর্তীকালীন অধিকর্তা হওয়া এম নাগেশ্বর রাও অলোককে স্বাগত জানান। ২৪ অক্টোবর রাত ২টোর সময় সিবিআই অধিকর্তাকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের ১০ তলায় বসতেন অলোক। সিল করে দেওয়া হয় সেটিকেও। এবার পদ ফিরে পেলেন অধিকর্তা।
আশা করি জনমতকে মর্যাদা দেওয়া হবে, সংরক্ষণ বিল পাশ হবে রাজ্যসভায়
অধিকর্তা হিসেবে কাজ করলেও আপাতত কোনও বড় নৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না তিনি। তাঁর সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি আছে। প্রধানমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতাকে সেই কমিটি তৈরি হয়। এ ব্যাপারে আলোচনা করতে হবে কমিটির সদস্যদের। এক সপ্তাহের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ইতিমধ্যেই কমিটির বৈঠকে না যাওয়ার কথা জানান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।
এদিকে জানা গিয়েছে সমস্ত ক্ষমতা না থাকলেও অধিকর্তা এখন এফআইআরের কপিতে সই করতে পারবেন। পাশাপাশি কোনও আধিকারিককে বদলিও করে দিতে পারেন তিনি। পাশাপাশি সিবিআইয়ের একটি অংশ মনে করেন এখন থেকে নাগেশ্বর রাওয়ের পদ খারিজ হয়ে গেল। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্তানার সংঘাত দেখা দেয়। রাকেশের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন অলোক। এই বিতর্কের মাঝেই অলোক এবং রাকেশকে ছুটিতে পাঠায় কেন্দ্র। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন অলোক। তাঁর যুক্তি ছিল দু'বছরের আগে সিবিআই অধিকর্তাকে পদ থেকে সরানো যায় না। তাঁর আগে সরাতে গেলে নির্দিষ্ট কমিটির দ্বারস্থ হতে হয়। সেই মামলাতেই রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি অলোক বর্মাকে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে তাঁর বিরুদ্ধে সিভিসিতে যে অভিযোগ আছে তার উত্তর দিতে।