মুখ্যমন্ত্রী হবেন কারা, তাই নিয়েই এখন চিন্তা কংগ্রেসের

 কংগ্রেস পেয়েছে ১১৪'টি আসন। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে এখনও দুটি আসন কম। বিধানসভা কেন্দ্রে মোট আসন ২৩০'টি। বিজেপিও খুব একটা পিছিয়ে নেই। তারা পেয়েছে ১০৯'টি আসন। মায়াবতী জানিয়েছেন তাঁর দল বিএসপি সরকার গঠন করার কাজে সমর্থন জানাবে কংগ্রেসকে।

 সারারত ধরে ভোটগণনা চলেছে মধ্যপ্রদেশে। আজ দুপুরে রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেলের সঙ্গে দেখা করেন তিন কংগ্রেস নেতা কমলনাথ, দিগ্বিজয় সিং এবং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। 

 রাজস্থানে ৯৯'টি আসন জেতে কংগ্রেস। শরিক অজিত যোগীর দলের সঙ্গে মিলে তা স্পর্শ করে ফেলেছে সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় ম্যাজিক নম্বর ১০০।

 রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের বিজয়মিছিল এখনও তেমনভাবে হয়নি। তার মূল কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, দলের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে দ্বন্দ্ব। 

 কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন রাজস্থানে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া তুলনায় সহজ। ৯৯ জন নবনির্বাচিত বিধায়ক দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসে আজ জানাবেন শচীন পাইলট ও অশোক গেহলৌতের মধ্যে কাকে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে চান।

 সাম্প্রতিককালের মধ্যে কংগ্রেস এই নির্বাচনে সবথেকে ভালো ফল করল। রাহুল গান্ধী দলীয় সভাপতি হওয়ার এক বছরের মধ্যেই এই ফল করতে পারল কংগ্রেস। 

 বিজেপির এই হারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দায়ী করে রাহুল গান্ধী গতকাল বলেন, "মোদীই আমাকে শিখিয়েছেন, ঠিক কী করা উচিত নয়। একজন রাজনীতিবিদের কাছে ঔদ্ধত্য হল সবথেকে সাংঘাতিক বিষ"।

 বিজেপির সবথেকে বড় আঘাত এসেছে ছত্তিশগড়ে। তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী রামন সিং-এর দল ওই রাজ্যে হেরে যাবে, তা কেউ আঁচই করতে পারেনি আগে থেকে। 

তেলেঙ্গানায় একইরকমভাবে নিজের সাম্রাজ্য অক্ষুণ্ণ রেখেছেন কে চন্দ্রশেখর রাও। ১১৯'টি আসনের মধ্যে ৮৮'টি আসনে জিতেছে তাঁর দল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি। কংগ্রেস-টিডিপি জোট পেয়েছে মাত্র ২১'টি আসন।

উত্তর-পূর্ব ভারতের মিজোরামে কংগ্রেস হেরে গেল স্থানীয় মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা এমএনএফের কাছে। ৪০'টি আসনের মধ্যে এই দল পেয়েছে ২৬'টি আসন।