সংশোধিত বিল পেশ করতেই লোকসভায় হট্টগোল শুরু হয়ে যায়।
নিউ দিল্লী:
গোলমালের মাঝেই এই বিল পেশ করে কেন্দ্র। ২০১৭ সালের অগাস্ট মাসে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় তিন তালাক প্রথার অবসান করে দেওয়ার সময় এসেছে। তারপর আইন তৈরি করে কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগে জানুয়ারি মাসে একটি বিল তৈরি হয়েছিল সেটি রাজ্যসভায় পাস করান যায়নি। এরপর তাতে সংশোধন করা হল। নতুন আইনে বলা আছে তিন তালাক দেওয়া স্বামীর তিন বছরের জেল পর্যন্ত হতে পারে। লোকসভায় তৃণমূলের দল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন আমরা মুসলমান মহিলাদের পাশে আছি কিন্তু শাস্তি দেওয়ার পক্ষে নই। যে সমস্ত মহিলার স্বামীর রোজগার ভাল তাঁরা ছাড়া কেউ এই বিল থেকে উপকৃত হবেন না।
রইল দশটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
আইনমন্ত্রী সংশোধিত বিল পেশ করতেই লোকসভায় হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। এব্যাপারে জেপিসি গঠনের দাবি করছে বিরোধীরা।
বিল পেশ করে আইনমন্ত্রী বলেন আমি সভাকে জানাতে চাই সুপ্রিম কোর্ট তাৎক্ষনিক তিন তালাককে অবৈধ বলেছে আর সংসদকে আইন আনতে বলেছে।
কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন আইনমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভুল ব্যাখ্যা করছেন। রায়ের কোথাও বলে দেওয়া নেই তিন তালাক দিলে তিন বছরের জেল হবে। এই আইনটা মুসলিম মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য নয় পুরুষদের সাজা দিতে তৈরি হয়েছে।
এই নতুন আইনের সবচেয়ে বড় দিক হল এটায় তিন বছর পর্যন্ত জেলের সুপারিশ করা আছে। তাছাড়া স্বামীকে জরিমানা দেওয়ার কথাও বলা আছে নতুন আইনে। বলা হয়েছে নিকা হালালা-র বিরুদ্ধেও।
এর আগে জানুয়ারি মাসে একটি বিল তৈরি হয়েছিল সেটি রাজ্যসভায় পাস করান যায়নি। এরপর তাতে সংশোধন করা হল।
বিরোধীদের সমালোচনার মাঝে পড়ে কয়েকটি পরিবর্তন করেছে কেন্দ্র। তবে তিন বছরের জেলের বিষয়টি একই ভাবে বলবৎ রেখেছে। এখন থেকে তিন তালাক পাওয়া স্ত্রী বা তাঁর নিকট আত্মীয়রা ছাড়া অন্য কেউ স্বামীর বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ করতে পারবেন না
গত সেপ্টেম্বর মাসে তাৎক্ষণিক তিন তালাককে নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র।
গত বছর অগাস্ট মাসে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ ৩-২ রায়ে তিন তালাক প্রথার অবসানের কথা জানায়।\
এবারের শীত কালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে ১১ ডিসেম্বর থেকে। কিন্তু বিরোধী সাংসদদের হট্টগোলে সভার কাজ সুষ্ঠু ভাবে করা যায়নি।
লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন জানান তিনি আশা করেন বিলটি কক্ষে পেশ করা সম্ভব হবে।
Post a comment