This Article is From Sep 14, 2019

যুবককে মারধর, ২ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের

Uttar Pradesh: ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবককে নির্মমভাবে মারধর করছেন পুলিশ কর্মীরা, আর সেখানে দাঁড়িয়ে পুরো ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করছে একটি বালক।

Uttar Pradesh: দুই পুলিশ কর্মীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয় এবং বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।

হাইলাইটস

  • এক যুবককে রাস্তার মধ্যে মারধর করায় সাময়িক বরখাস্ত ২ পুলিশ কর্মী
  • তাঁদের বিরুদ্ধে এবার খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হল
  • ওই দুই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
লখনউ:

এবার খোদ পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধেই খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটল যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। কিছুদিন আগেই দেশে নয়া ট্রাফিক আইন জারি হয়েছে। সেই ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করেছেন এই অভিযোগে পূর্ব উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) সিদ্ধার্থ নগর জেলার এক যুবককে ব্যাপক মারধর করেন দুই পুলিশ কর্মী, ক্যামেরায় ধরা পড়ে কীভাবে দুই পুলিশ কর্মী (Uttar Pradesh Police) ওই যুবককে রাস্তায় টেনে নিয়ে গিয়ে থাপ্পড় মারছেন। গোটা ঘটনাটি ধরা পড়ে একটি ভিডিওতে। সেই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরে দুই পুলিশ কর্মীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হল।

ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবককে নির্মমভাবে মারধর করছেন পুলিশ কর্মীরা, আর সেখানে দাঁড়িয়ে পুরো ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করছে তাঁর সঙ্গে থাকা একটি বালক, জানা গেছে, ছেলেটি ওই যুবকের ভাইপো।

এক যুবককে হিড়হিড় করে টেনে এনে কষিয়ে থাপ্পড় মারলেন পুলিশ কর্মী !

ওই ব্যক্তির পরিবার জানিয়েছে যে ট্র্যাফিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠলে তা নিয়েই যুবকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় দুই পুলিশ কর্মীর। এরপরেই ওই যুবককে রাস্তায় ফেলে মারধর শুরু করেন ওই পুলিশ কর্মীরা।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশ অবশ্য পাল্টা অভিযোগ করেছে যে ওই যুবক মাতাল অবস্থায় ছিলেন এবং ওই এলাকায় একটি সাম্প্রদায়িক বিবাদের সঙ্গেও তাঁর নাম জড়িয়েছে। তবে মদ্যপান এবং অস্বাভাবিক গতিতে গাড়ি চালানোর জন্য কোনও পরীক্ষাই করা হয়নি বলে জানা গেছে।

পুলিশ কর্মীদের মারধরের ভিডিওটি সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। দুই পুলিশ কর্মীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয় এবং বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে ওই হামলার কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। প্রাথমিক ভাবে দেখা গেছে যে মোটর সাইকেলে আরোহী ওই যুবকের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন ওই পুলিশ কর্মীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশকর্মীরা তাঁর মোটর সাইকেলের কাগজপত্র যাচাই করতে চাইলে তাতে তিনি বাধা দিলে বিতর্ক বাঁধে।

ট্রাফিক পুলিশের দুর্ব্যবহার, অপমানে হৃদরোগে আক্রান্ত যুবকের মৃত্য়ু

ভিডিওতে ওই যুবককে হিন্দিতে  পুলিশের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়,"যদি এটি আমার দোষ হয় তবে আপনি আমাকে জেলে বন্দী করতে পারেন।"

ভিডিওটির শেষের দিকে, পুলিশ কর্মীরা ওই যুবকের কাছ থেকে তাঁর মোটর সাইকেলের চাবি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় লোকটি ওই চাবি দিতে অস্বীকার করে। "বলুন, আমার দোষ কী?" তিনি জিজ্ঞাসা করেন পুলিশ কর্মীদের।

তবে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একজন প্রবীণ পুলিশ আধিকারিক ধরমবীর সিং বলেন, "যদিও বলা হচ্ছে যে ওই যুবক মাতাল ছিলেন, তবুও যেভাবে দুই পুলিশ কর্মী তাঁকে মারধর করেন, রীতিমতো মাটিতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন এবং ওই যুবকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তাঁরা দু'জনই ইউনিফর্ম পরে ছিলেন। এই ঘটনা গোটা পুলিশ বিভাগের জন্যেই অপমানজনক"। 

.