রহস্যাবৃত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখে ইতিহাসে পাতায় নাম তুলতে মরিয়া ছিল ভারত।
নয়াদিল্লি: চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ২.১ কিলোমিটার দূরে থাকা অবস্থায় বিক্রম ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর, তবে চাঁদের মাটিতে ভারতের পদচিহ্ন এঁকে দিতে ইসরোর বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টায় উৎসাহ দিয়ে এল ট্যুইট-বার্তা। বিজ্ঞানীদের উৎসাহব্যাঞ্জন বার্তা দিয়েই প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করেন, “আমাদের বিজ্ঞানীদের জন্য গর্বিত ভারত। তাঁরা তাঁদের সেরাটা দিয়েছেন এবং সবসময়েই ভারতকে গর্বিত করেছেন। চন্দ্রযান-২ সম্পর্কে আপডেট দিয়েছেন ইসরোর চেয়ারম্যান। আমরা আশাবাদী রয়েছি, এবং আমাদের মহাকাশের কার্যকলাপ চালিয়ে যাব”।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের চন্দ্রায়ণ-২ এতটা যেতে পেরেছে, সেটাই তাঁদের বিরাট সাফল্য। তিনি বলেন, “প্রতিশ্রুতিবদ্ধভাবে তাঁদের পাশে রয়েছে ভারত, এবং কঠোর পরিশ্রমী বিজ্ঞানীদের পাশে রয়েছে, ভবিষ্যতের চেষ্টার জন্য আমার অনেক শুভেচ্ছা”।
চাঁদের মাটিতে পা রাখতে ভারতের দ্বিতীয় পদক্ষেপ চন্দ্রায়ণ-২ ছিল ইসরোর সবচেয়ে জটিল অভিযান। রহস্যাবৃত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখে ইতিহাসে পাতায় নাম তুলতে মরিয়া ছিল ভারত।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, জীবনের ওঠাপড়াকে মেনে নিতে হবে। বিজেপি সাংসদ মীনাক্ষী লেখি উল্লেখ করেন, শেষ ২.১ কিলোমিটার দূরত্বে বিক্রম ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তিনি ট্যুইট করেন, “৯৩ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে. কোনও চিন্তা নেই. অনেক শেখার থাকে। ভারতকে চাঁদে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করার জন্য ভারতের সবচেয়ে ভাল বিজ্ঞানীরা রয়েছেন। আমাদের বিজ্ঞানীদের জন্য গর্বিত”।
বিক্রম ল্যান্ডার নিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ছে বিরোধী দলও। ট্যুইটে কংগ্রেসের তরফে লেখা হয়, “ইসরোর পুরো টিমের সঙ্গে রয়েছে দেশ, এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমরা অপেক্ষায় রয়েছি। আপনাদের কঠোর পরিশ্রম এবং প্রতিশ্রতি আমাদের দেশকে গর্বিত করেছে, জয় হিন্দ”।
চন্দ্রায়ণ-২ নিয়ে অবিশ্বাস্য কাজের জন্য ইসরোর বিজ্ঞানীদের স্বাগত জানিয়েছেন রাহুল গান্ধি। তিনি বলেন, “আপনাদের আবেগ ও একাগ্রতা প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে প্রেরণা। আপনাদের কাজ ব্যর্থ হবে না। অনেক রাস্তার পথ খুলে দিয়েছে এটা, এবং ভবিষ্যতের মহাকাশ কার্যকলাপের ক্ষেত্রে”।
একইধরণের ট্যুইট করেছেন আম আদমি পার্টি সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। তিনি বলেন, “আমাদের বিজ্ঞানীদের জন্য আমরা গর্বিত। তাঁরা ইতিহাস তৈরি করেছেন। ভগ্নহৃদয় হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। আমাদের বিজ্ঞানীরা দারুণ কাজ করেছেন। জয় হিন্দ”।