দোষ কি এটাই যে মহিলা কামরা থাকা সত্ত্বেও ছেলে আর মেয়ে জেনারেল কামরায় উঠেছে? আবার কলকাতায় যুগল নিগ্রহ! আবার প্রশ্নে উঠেছে আমাদের শহরকে নিয়ে। আগেরবার মেট্রোতে আর এইবার ব্যারাকপুরগামী ট্রেনে। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে একটি ছেলে মেয়ে ট্রেনে ওঠার পরই তাদের হতে হলো হেনস্তা। কারণ মহিলার পোশাক। জানিয়ে রাখা দরকার মেয়েটি একটি টি শার্ট আর জিন্স পড়ে ট্রেনে উঠেছিলেন তাই এই ঘটনার মুখোমুখি হতে হলো তাদের। ইতিমধ্যে তারা রেল পুলিশের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছে।
সোমবার জিআরপি পুলিশ জানিয়েছেন যে, "হ্যাঁ আমরা এই অচেনা ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। আর আমরা তাকে সনাক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এবং গোটা বিষয়টাই তদন্ত করছি।"
একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করা সেই মেয়েটি শিয়ালদহ থেকে ব্যারাকপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে তার বন্ধুর সাথে ট্রেনের জেনারেল বগিতে ওঠার পরই এই ঘটনার মুখোমুখি হয়।
ট্রেনে খুব ভিড় ছিল আর তারা পাশের সিটে এই ব্যক্তিকে একটু সরে বসতে বলেন, তখন তিনি জানান যে ওখানে ফ্যান চলছে না তাই তিনি সরে বসতে পারবেন না। সেই সময় কোনোভাবে তারা একটু জায়গা করে সেখানে কোনোভাবে বসে পড়ে। কিন্তু তারা নামার সময়ই ঘটলো একটি নক্কারজনক ঘটনা। মহিলাকে সরাসরি বলা হলো, এই ধরণের জামা কাপড় পড়ে ট্রেনে যেন না ওঠে সে! আর বাড়িতে গিয়ে বন্ধুর কোলে যেন সে বসে। এই গোটা ঘটনা মেয়েটি ক্যামেরা বন্দি করার সময় রীতিমত চড়াও হয়ে যায় সেই ব্যক্তি এবং ট্রেনের এক দল যাত্রী। আর বারবার বলতে থাকে, তুমি একটা মেয়ে, বেশি কথা বলো না!
মহিলা ট্রেন থেকে নামার সময় এই টুকুই বলেছিল যে, আমরা যখন সরে বসতে বললাম তখন আপনি নড়লেন না, কিনা সেখানে পাখা চলছে না। কিন্তু আমরা উঠতেই আপনি সেইখানেই গিয়ে বসলেন যেখানে ফ্যান চলছিল না। আর এই সত্যি কথাটাই সহ্য হয় না জনৈক ব্যক্তির। তারপর কুৎসিত ভাষায় তাদেরকে ভৎসনায় মেতে ওঠে ট্রেনের সেই সকল যাত্রীরা। যার নেতৃত্বে ছিলেন সেই ব্যক্তি।
ঘটনাচক্রে কিছুদিন আগেই মেট্রো রেলে এইভাবেই একটি ছেলে এবং মেয়েকে ধরে প্রাপ্তবয়স্ক লোকেরা মারধর করে শিরোনামে এসেছিলো। চন্দননগরের মেলা আর এরপর এই ধরণের ঘটনা বারবার ঘটে চলেছে এই শহরের বুকে। সমাজের মধ্যে থেকেও মহিলাকে তার করণীয় কি সেটা শেখানোর চেষ্টা করছে রাস্তার যাত্রীরা।
ফেসবুকের পোস্টের মাধ্যমে মেয়েটি সরাসরি এই সমাজের ঘৃণ্য রূপ এই মুহূর্তে গোটা দুনিয়ার সামনে তুলে ধরেছে। আর একটাই প্রশ্ন করেছে," এই সমাজে কি বয়স্ক মানুষরা কি এইভাবেই মহিলাদের ওপর বারবার হেনস্থা করে যাবে? এই সমাজে ট্রেনে বাসে উঠলে এই ঘটনায় দিন দিন সহ্য করে যেতে হবে?"
উত্তর খুঁজছে মহিলা, আর এই শহরের মাথা নিচু হলো আরো একবার। কতদিন এইভাবে সহ্য করতে হবে সাধারণ যাত্রী তথা বয়স্ক মানুষদের এই নিত্যনৈমিত্তিক দাদাগিরি! এই শহরের কি আজ সাধারণ মানবিকতাও মৃতপ্রায়?
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)
একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করা সেই মেয়েটি শিয়ালদহ থেকে ব্যারাকপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে তার বন্ধুর সাথে ট্রেনের জেনারেল বগিতে ওঠার পরই এই ঘটনার মুখোমুখি হয়।
ট্রেনে খুব ভিড় ছিল আর তারা পাশের সিটে এই ব্যক্তিকে একটু সরে বসতে বলেন, তখন তিনি জানান যে ওখানে ফ্যান চলছে না তাই তিনি সরে বসতে পারবেন না। সেই সময় কোনোভাবে তারা একটু জায়গা করে সেখানে কোনোভাবে বসে পড়ে। কিন্তু তারা নামার সময়ই ঘটলো একটি নক্কারজনক ঘটনা। মহিলাকে সরাসরি বলা হলো, এই ধরণের জামা কাপড় পড়ে ট্রেনে যেন না ওঠে সে! আর বাড়িতে গিয়ে বন্ধুর কোলে যেন সে বসে। এই গোটা ঘটনা মেয়েটি ক্যামেরা বন্দি করার সময় রীতিমত চড়াও হয়ে যায় সেই ব্যক্তি এবং ট্রেনের এক দল যাত্রী। আর বারবার বলতে থাকে, তুমি একটা মেয়ে, বেশি কথা বলো না!
Advertisement
ঘটনাচক্রে কিছুদিন আগেই মেট্রো রেলে এইভাবেই একটি ছেলে এবং মেয়েকে ধরে প্রাপ্তবয়স্ক লোকেরা মারধর করে শিরোনামে এসেছিলো। চন্দননগরের মেলা আর এরপর এই ধরণের ঘটনা বারবার ঘটে চলেছে এই শহরের বুকে। সমাজের মধ্যে থেকেও মহিলাকে তার করণীয় কি সেটা শেখানোর চেষ্টা করছে রাস্তার যাত্রীরা।
Advertisement
উত্তর খুঁজছে মহিলা, আর এই শহরের মাথা নিচু হলো আরো একবার। কতদিন এইভাবে সহ্য করতে হবে সাধারণ যাত্রী তথা বয়স্ক মানুষদের এই নিত্যনৈমিত্তিক দাদাগিরি! এই শহরের কি আজ সাধারণ মানবিকতাও মৃতপ্রায়?
Advertisement
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)
COMMENTS
Advertisement