Read in English
This Article is From Apr 05, 2019

অগস্ত্যওয়েস্টল্যান্ড চুক্তি: চার্জশিটে নাম রয়েছে আহমেদ পটেল ও 'শ্রীমতি গান্ধী'র

২০০৭ সালে মনমোহন সিং সরকারের আমলে এই চুক্তি সাক্ষর হয়। মোট ৩,৬০০ কোটি টাকার এই চুক্তিতে ১২’টি বিলাসবহুল হেলিকপ্টার কেনার কথা হয়েছিল।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া
নিউ দিল্লি:

অগস্ত্যওয়েস্টল্যান্ড ভিভিআইপি হেলিকপ্টার চুক্তি বিষয়ে যে চার্জশিট পেশ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি অভিযুক্ত মধ্যস্থতাকারী ক্রিশ্চিয়ান মিশেলের বিরুদ্ধে, সেখানে নাম রয়েছে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেলের সঙ্গেই কোনও এক ‘শ্রীমতী গান্ধী'র। বৃহস্পতিবার দিল্লির এক আদালতের কাছে পেশ করা হয় এই চার্জশিটটি। যদিও, এই বিষয়ের আহমেদ পটেলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এনডিটিভিকে সাফ জানান, “এগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য নির্বাচনী গিমিক। আমার দেশের আইনব্যবস্থার প্রতি সম্পূর্ণ ভরসা রয়েছে”। অন্যদিকে, ক্রিশ্চিয়ান মিশেলের অভিযোগ, এই চার্জশিট আদালতের কাছে আসার আগেই মিডিয়ার হাতে চলে গিয়েছিল। অভিযুক্তদের কাছে চার্জশিটের কপি পৌঁছনোর আগেই তা কী করে মিডিয়ার কাছে পৌঁছে যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। দিল্লির পাতিয়ানা হাউজ কোর্ট এই বিষয়ে জবাব চেয়েছে ইডি-র কাছে। কেন্দ্রীয় সংস্থাটির পক্ষ থেকে শনিবার আদালতকে জবাব দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

এখনই দিল্লির দপ্তর ছাড়তে হবে না ন্যাশনাল হেরাল্ডকেঃ সুপ্রিম কোর্ট

২০০৭ সালে মনমোহন সিং সরকারের আমলে এই চুক্তি সাক্ষর হয়। মোট ৩,৬০০ কোটি টাকার এই চুক্তিতে ১২'টি বিলাসবহুল হেলিকপ্টার কেনার কথা হয়েছিল। যেগুলি ব্যবহার করবেন দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সহ অন্যান্য প্রশাসনিক গণ্যমান্যরা।

Advertisement

এফ ১৬ বিমান ধ্বংস করা নিয়ে ভারতের দাবিকে প্রশ্নের মুখে ফেলল মার্কিন পত্রিকা

ক্রিশ্চিয়ান মিশেল হলেন একজন ব্রিটিশ নাগরিক। ডিসেম্বর মাসেই দুবাই থেকে প্রত্যর্পণ হয় তাঁর। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানা যায় যে, তাঁর ডায়েরিতে ‘এপি' বলে যাঁর কথা লেখা রয়েছে, তিনি হলেন আহমেদ পটেল। এবং ‘ফ্যাম' বলে যা লেখা রয়েছে, তা আসলে ‘ফ্যামিলি'র ক্ষুদ্র সংস্করণ। যে তিনজন মধ্যস্থতাকারীর বিরুদ্ধে রীতিমত বহু টাকা ঘুষ দিয়ে এই চুক্তিটিকে দিনের আলো দেখানোর অভিযোগ ছিল, তিনি তাঁদের মধ্যেই একজন।

Advertisement

মোদীর স্পিড ব্রেকার দিদি মন্তব্যের পালটা দিতে তৃণমূলের হাতিয়ার এই তিনটি শব্দ

ডায়েরির কোড ওয়ার্ড উদ্ধার করে এটুকুও জানা যাচ্ছে যে, তৎকালীন বায়ুসেনার কর্তা, আমলা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পদস্থ হোমরাচোমরা এবং ‘তৎকালীন শাসকদলের একাধিক শীর্ষনেতা' সব মিলিয়ে ৩০ মিলিয়ন ইউরো খরচ করা হয়েছিল। একটি ‘জটিল কাঠামো'র মাধ্যমে এই লেনদেন হয়। যাকে নগদ করা হয়েছিল ‘হাওয়ালা'র মাধ্যমে।   

Advertisement

Advertisement