தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Nov 11, 2018

মাওবাদীদের গতিবিধি বুঝতে ছত্তিশগড়ের নির্বাচনে আকাশে উড়ছে ড্রোন

ড্রোন থেকে পাঠানো ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে মাওবাদীদের একটি দল আবুজমাদের গভীর জঙ্গলের মধ্য দিয়ে কুশলনারে যাচ্ছে। মাওবাদীদের দ্বারা এলাকাটি সম্পূর্ণ অধিকৃত এবং কার্যত কোন নিরাপত্তার উপস্থিতি নেই এই এলাকায়

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

নির্বাচন কর্মকর্তাদের জন্য নিরাপত্তা বাহিনী সেই সমস্ত এলাকায় পাঠানোর আগে ড্রোনগুলি ওই এলাকাগুলিতে নজরদারি রাখছে

Highlights

  • ছত্তিশগড়ে এই প্রথম নির্বাচন উপলক্ষে ড্রোন ব্যবহার হচ্ছে
  • মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, উড়িষ্যা থেকে মাওবাদীরা এখানে উপস্থিত হয়েছে
  • ছত্তিশগড়ের 90 টি আসনের মধ্যে 18 টিতে আগামীকাল নির্বাচন
ভোপাল :

ছত্তিশগড়ে প্রথমবার নির্বাচনে ব্যবহৃত হচ্ছে ড্রোন! নির্বাচনের ঠিক আগে মাওবাদীদের গতিবিধির উপর নজর রাখতে কেন্দ্র এবার ড্রোন ব্যবহার করছে। আগামীকাল ছত্তিশগড়ের মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় নির্বাচন হতে চলছে এবং নির্বাচন কর্মকর্তাদের জন্য নিরাপত্তা বাহিনী সেই সমস্ত এলাকায় পাঠানোর আগে ড্রোনগুলি ওই এলাকাগুলিতে নজরদারি রাখছে কড়াভাবে।

ছত্তিশগড়ের 90 টি আসনের মধ্যে 18 টি আসন মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় পড়েছে। সব ক'টি আসনেই আগামীকাল ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বাকি জায়গায় ভোট হবে 20 নভেম্বর।

গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা, উড়িষ্যা ও মাওবাদীদের অন্যান্য জায়গা থেকে ছত্তিশগড়ে নির্বাচন উপলক্ষে এসে পৌছেছে মাওবাদীদের দল। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে, মাওবাদীরা গ্রামবাসীদের ভোট দেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে এবং তা কার্যকরীভাবে প্রয়োগ করে চলেছে।

Advertisement

আজ সকালেই মাওবাদীরা রাজধানী রায়পুর থেকে 175 কিলোমিটার দূরে কঙ্কার জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ করে সাতটি বিস্ফোরণ ঘটায় এবং এতে একজন মারাও যায়। একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।

ড্রোন থেকে পাঠানো ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে মাওবাদীদের একটি দল আবুজমাদের গভীর জঙ্গলের মধ্য দিয়ে কুশলনারে যাচ্ছে। মাওবাদীদের দ্বারা এলাকাটি সম্পূর্ণ অধিকৃত এবং কার্যত কোন নিরাপত্তার উপস্থিতি নেই এই এলাকায়। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন মাওবাদীদের উপর হামলার অংশ হিসাবে ড্রোন ব্যবহার করা সম্ভব হলেও এখানে নানা সমস্যার কারণেই তা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

Advertisement

ছবি পাওয়া ও যেখানে মাওবাদীরা রয়েছে সেখানে সেনাবাহিনী পাঠানো- এই দুই কাজের মধ্যে সময় লেগে যাচ্ছে অনেকটাই। সারা এলাকা জুড়ে মাওবাদীরা নানা ফাঁদ পেতে রেখেছে। নানান স্পাইক এবং আধুনিক বিস্ফোরক ডিভাইসগুলির সাথে পাল্লা দিয়ে ওইসব এলাকায় সহজে ও শীঘ্র ঢুকে পড়া অসম্ভব বলেই জানিয়েছেন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।

যদিও মাওবাদী ক্যাডার ও তথ্যদাতাদের নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বিশেষ করে যারা গ্রামবাসীদের মধ্যে মিশে থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর গতিবিধির উপর নজরদারি রাখছে তাঁদের নিয়ে সমস্যায় পড়তে হতে পারে কেন্দ্রকে।

Advertisement