Read in English
This Article is From Aug 03, 2019

'২০১৯-এ দেবী সরস্বতীকেও স্বাধীনতা দেওয়া দরকার': এআইসিটিইর চেয়ারম্যান

জাতীয় শিক্ষা নীতি (এনইপি) নিয়ে পরামর্শ দেওয়ার সময়সীমা আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। খসড়া নীতিমালার বিষয়ে ইতিমধ্যে মন্ত্রক দেড় লক্ষ পরামর্শ পেয়েছে।

Advertisement
Education Edited by

খসড়া নীতিমালার বিষয়ে ইতিমধ্যে মন্ত্রক দেড় লক্ষ পরামর্শ পেয়েছে

নয়া দিল্লি:

দেশের শিক্ষাব্যবস্থা কি এবার গতানুগতিক চলন প্রক্রিয়ার বদলে আরও স্বাধীন আরও উন্মুক্ত হবে? অন্তত এআইসিটিইর (AICTE) সভাপতির কথায় তো তেমনই ইঙ্গিত মিলল। শুক্রবার এআইসিটিইর সভাপতি অনিল ডি সহস্রবুদ্ধে (AICTE Chairman Anil D Sahasrabudhe) বলেন যে ২০১৯ সাল এমন একটি বছর হবে যখন হিন্দুদের শিক্ষার দেবী সরস্বতীও স্বাধীনতা পাবেন। জাতীয় শিক্ষা নীতির (National Education Policy (NEP) খসড়া নিয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন যে এটা অত্যন্ত স্পষ্ট যে নীতিটি প্রতিষ্ঠানগুলিকে বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের দিকে পরিচালিত করতে চলেছে। "বিশ্বে মাত্র চারটি দেশ রয়েছে যারা এই গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থার অনুসরণ করে চলেছে - ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা। অথচ ব্রিটেন,  যাঁরা এই ব্যবস্থাটি শুরু করেছিল, তাঁরা তা বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা এখনও ওই গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থাকেই অনুসরণ করে চলছি। এই নীতিটি গৃহীত হয়েছে "প্রতিষ্ঠানগুলির স্বায়ত্তশাসিত হওয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি বিবেচনা করেই,"  ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্ট কনক্লেভ (আইএমসি) এর সভায় একথাই বলেন এআইসিটিইর সভাপতি। পাশাপাশি ভারতের ৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার পিছনে শিক্ষার ভূমিকার প্রসঙ্গ নিয়ে একটি শ্বেতপত্রও প্রকাশ করেন তিনি।

হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া বিতর্কে সুর নরম কেন্দ্রের, আসরে নির্মলা, জয়শঙ্কর

ওই শিক্ষানীতির আন্তঃশৃঙ্খলা ও বহু-বিভাগীয় উচ্চ শিক্ষাব্যবস্থার বিষয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি (AICTE Chairman Anil D Sahasrabudhe) বলেন: "বহু-বিভাগীয় ও আন্তঃশৃঙ্খলাবিদ্যার দর্শন এমন একটি পদক্ষেপ যাকে স্বাগত জানাতেই হয় কারণ এটি শিক্ষার বিভিন্ন ধারার মধ্যে সমন্বয় সাধন করবে।"

Advertisement

জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP) নিয়ে পরামর্শ দেওয়ার সময়সীমা আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। খসড়া নীতিমালার বিষয়ে ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয় দেড় লক্ষ পরামর্শ পেয়েছে।

এই পরামর্শগুলির কথাও তুলে ধরে তিনি হাল্কা চালে বলেন "সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে যে এই নয়া শিক্ষা নীতিটি (National Education Policy (NEP) নিয়ে প্রচুর মন্থন ও সংশ্লেষণ হচ্ছে I এ যেন অনেকটা সমুদ্রমন্ত্রনের মতো - যা থেকে কিছু বিষ নির্গত হবে এবং কিছু অমৃতও বের হবে এবং আমাদের অমৃত নিয়েই আনন্দ করা উচিত এবং আশা করা যায় যে বিষটি শোষণ করার জন্য কোনও শিব নিশ্চয়ই থাকবেন"।

Advertisement

আইএমসির আহ্বায়ক এবং শ্বেত পত্রের সহ-লেখক অমিত অগ্নিহোত্রী বলেন, এই সম্মেলনটি  দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কেন্দ্রীয় অবস্থান স্পষ্ট করে।

প্রবল চাপের মুখে প্রস্তাবিত নতুন শিক্ষানীতির খসড়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন করল মোদী সরকার

Advertisement

"২০২৫ সালে ভারতের জনসংখ্যা ১.৪০ বিলিয়নে পৌঁছে যাবে যার জন্য আরও কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অনুষদ এবং উচ্চতর গ্রন্থ তালিকা অনুপাতের প্রয়োজন হবে। জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়ায় (National Education Policy (NEP) ২০২৫ সালের মধ্যে বর্তমান আবাসিক অনুপাতে ২৫.৮ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশে বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে, যা ৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির লক্ষ্য অর্জনে যথেষ্ট অবদান রাখবে", বলেন তিনি।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
Advertisement