Read in English
This Article is From Jul 18, 2018

মৃত্যুর কয়েকদিন আগে স্বামীর প্রথম বিয়ের কথা জেনেছিলেন অ্যানিসিয়া

জার্মান বিমানসংস্থায় কাজ করা 39 বছর বয়সী আত্মঘাতী বিমানসেবিকা অ্যানিসিয়া বাত্রা এক মাস আগে জানতে পারেন, তাঁর স্বামী ময়াঙ্ক সিঙ্ঘভি একজন ডিভোর্সি।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By

গত শুক্রবার তাঁর বাড়ির বারান্দা থেকে ঝাঁপ মারেন অ্যানিসিয়া বাত্রা

নিউ দিল্লি:

দক্ষিণ দিল্লির পঞ্চশীল পার্কে যে বিমানসেবিকা আত্মহত্যা করেছেন, তিনি সম্প্রতি জানতে পেরেছিলেন তাঁর স্বামীর আগের বিয়ের কথা। গতকাল জানিয়েছে পুলিশ।

তদন্তের দায়িত্বে থাকা এই উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান, জার্মান বিমানসংস্থায় কাজ করা 39 বছর বয়সী আত্মঘাতী বিমানসেবিকা অ্যানিসিয়া বাত্রা এক মাস আগে জানতে পারেন, তাঁর স্বামী ময়াঙ্ক সিঙ্ঘভি একজন ডিভোর্সি।

2016 সালের 23 ফেব্রুয়ারি তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁর আগে দুজনের প্রেম ছিল বলে জানা গিয়েছে।

“ময়াঙ্ক সিঙ্ঘভি তাঁর স্ত্রী’র কাছ থেকে নিজের প্রথম বিয়ের কথা সম্পূর্ণ চেপে গিয়েছিলেন। স্বামীর প্রথম বিয়ের কথা জানতে পেরে মানসিকভাবে পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিলেন অ্যানিসিয়া। সন্দেহ করা হচ্ছে যে, এই ব্যাপারটি নিয়ে তাঁদের দুজনের মধ্যে প্রবল দাম্পত্য কলহ হয়েছিল”, বলেন ওই অফিসার।

Advertisement

গত শুক্রবার তাঁর বাড়ির বারান্দা থেকে ঝাঁপ মারেন অ্যানিসিয়া বাত্রা। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, ময়াঙ্ক সিঙ্ঘভি নিয়মিত শারীরিক অত্যাচার চালাত অ্যানিসিয়ার ওপর। এছাড়া, ময়াঙ্কের বাবা-মা অ্যানিসিয়াকে পণের জন্য চাপ দিত।

গত সোমবার ময়াঙ্ক সিঙ্ঘভিকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল আদালতে তোলা হয় তাঁকে। আপাতত 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। “সাক্ষীদের বয়ান নথিভুক্ত করার পর, আমরা ওঁর জেল হেফাজত বাড়িয়ে দেওয়ার আবেদন করব”, বলেন ওই অফিসার।

Advertisement

অ্যানিসিয়ার পরিবারের ঘনিষ্ঠ একজন গতকাল জানান, তাঁর অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার মাত্র আধঘন্টা আগে আদালতের পক্ষ থেকে ময়াঙ্কের শুনানি সম্বন্ধে তাঁদের জানানো হয়।

“আজ বেলা বারোটার সময় অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে আমাদের জানানো হয়েছিল, আদালতে শুনানি শুরু হবে দুপুর দুটো নাগাদ। তারপর, অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার মাত্র আধঘন্টা আগে সকাল সাড়ে এগারোটার সময় আমাদের বলা হয়, শুনানির সময় বদলে করা হয়েছে দুপুর বারোটা। এটা অত্যন্ত অমানবিক এবং কোনওভাবেই গ্রহণীয় নয়”। দিল্লি পুলিশের ওপর নিজের ক্ষোভ উগরে দেন নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই আত্মীয়া।

Advertisement

তিনি বলেন, অ্যানিসিয়ার ভাই তাঁকে শেষ দেখাও দেখতে পারেনি।

অন্যদিকে পুলিশের দাবি, তদন্তকারী অফিসারের দায়িত্ব ছিল অ্যানিসিয়ার পরিবারকে আদালতের শুনানি সম্বন্ধে অবগত করানো।

Advertisement

ময়াঙ্ক সিঙ্ঘভির বাবা-মা’কে গ্রেফতার না করা নিয়েও পুলিশের প্রতি ক্ষোভে ফেটে পড়ে অ্যানিসিয়ার পরিবার। তাঁদের দাবি, তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় ‘যুক্ত’ থাকা সত্ত্বেও, কেন এখনও পুলিশ ওদের গ্রেফতার করছে না, তা তাঁদের বোধের অগম্য।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)
Advertisement