Read in English
This Article is From Feb 27, 2019

ভারত এবং পাকিস্তানকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বার্তা দিল চিন

পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটিতে বোমা ফেলে এয়ার স্ট্রাইক করেছে ভারতীয় সেনা। এরপর প্রতিক্রিয়া  দিয়েছে পাকিস্তান। জবাব দেওয়ার কথা বলেছে ইমরানের দেশ।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

পুলওয়ামা হামলার জবাব দিতেই আঘাত হানে  ভারতীয় সেনা। 

Highlights

  • ভারত এবং পাকিস্তানকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বার্তা দিল চিন
  • পাক সেনা ও জনগণকে সমস্ত পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে বললেন ইমরান
  • হামলার পর জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে বসেন ইমরান
নিউ দিল্লি :

পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটিতে বোমা ফেলে এয়ার স্ট্রাইক করেছে ভারতীয় সেনা। এরপর প্রতিক্রিয়া  দিয়েছে পাকিস্তান। জবাব দেওয়ার কথা বলেছে ইমরানের দেশ। এবার প্রতিক্রিয়া দিল চিন। ভারত এবং পাকিস্তানকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বার্তা  দিল বেজিং। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লু কিং সংবাদ সংস্থা  পিটিআইকে জানিয়েছেন, আমরা আশা  করি পাকিস্তান এবং ভারত নিজেদের মধ্যে তৈরি হওয়া পরিস্থিতি  নিয়ন্ত্রণ করবে এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় সুস্থিতি ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।এদিকে, ভারতীয় বায়ু সেনার হামলার পর সমস্ত পরিস্থিতির জন্য পাকিস্তানের সেনা ও জনগণকে  তৈরি থাকতে বললেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।  হামলার পর জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে বসেন ইমরান। বৈঠকের পর পাকিস্তানের তরফ থেকে  বিবৃতি  জারি করে  বলা হয়েছে, ভারত অকারণে আগ্রাসন দেখিয়েছে। পাকিস্তান নিজের  সময় মতো এর জবাব দেবে। পাকিস্তানের  জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এই বৈঠকে হাজির ছিলেন, তিন বাহিনীর প্রধান  এবং অন্যরা। পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মামুদ কুরেশি বলেছেন, এভাবে ভারত আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রম করেছে এবং অকারণ পরাক্রম দেখিয়েছে। পাকিস্তানের জবাব  দেওয়ার এবং আত্মরক্ষা  করার অধিকার আছে।

ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযান: মাসুদ আজাহারের শ্যালকের নেতৃত্বাধীন জইশ ক্যাম্পে হামলা চালানো হয়েছে: কেন্দ্র

পুলওয়ামা হামলার জবাব দিতেই আঘাত হানে  ভারতীয় সেনা।  ওই হামলার  পর রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পর্ষদে   বিষয়টি  তোলে ভারত। তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া  দেয়।  এই ঘটনার নিন্দা করতে গিয়ে জঙ্গি সংগঠন জইশ- ই- মহম্মদ-এর নাম উল্লেখ করে তারা। তবে এনডিটিভি জানতে পেরেছে চিনের তরফ থেকে চেষ্টা করা হয়েছিল যাতে জইশের নাম উল্লেখ করা না হয়। এক বিবৃতিতে  পর্ষদ বলেছে, কাপুরুষের মতো আঘাত হেনে কাশ্মীরে চল্লিশেরও বেশি সিআরপিএফ জওয়ানকে হত্যা করা হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদ কড়া ভাষায় এই হামলার বিরোধিতা করছে। ঘটনার দায়  নিয়েছে জঙ্গি সংগঠন জইশ- ই- মহম্মদ। পরিষদের সমস্ত সদস্য-রাষ্ট্রকে নিজেদের বাধ্যবাধকতাকে দূরে সরিয়ে রেখে ভারত সরকারকে সাহায্য  করতে হবে। শুধু জইশের নাম নেওয়া  নিয়ে  নয় পুলওয়ামাকে  কাশ্মীর না বলে ভারত অধিকৃত কাশ্মীর বলার  দাবিও তুলেছিল চিন।

Advertisement
Advertisement