নিজের ভুল বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গেই সেটিকে "আনলাইক" করেন Akshay Kumar
হাইলাইটস
- জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ সংক্রান্ত একটি টুইটে 'লাইক' করেন অক্ষয়
- ভুল করে ওই 'লাইক' করে ফেলেছেন, পরে এমনটাই বলেন ওই অভিনেতা
- পরবর্তীতে 'আনলাইক'-ও করে দেন বলিউডের খিলাড়ি
নয়া দিল্লি: রবিবার জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (Jamia Milia Islamia Delhi) উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (Citizenship Amendment Act) বিরোধিতায়, সেই সময় সেখানকার পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে যেভাবে পুলিশি পদক্ষেপ করা হয় তা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে দেশে। পুলিশের কাণ্ডকারখানা ঘিরে বিদ্রূপাত্মক বেশ কিছু টুইট ঘোরাফেরা করতে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারই একটায় নাকি ভুল করে 'লাইক' করে ফেলেন অক্ষয় কুমার, পরবর্তীতে ব্যাখ্যা করে এ কথাই বলেন বলিউডের খিলাড়ি (Akshay Kumar)। ৫২ বছর বয়সী ওই অভিনেতা নিজের ভুল বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গেই সেটিকে 'আনলাইক' করেন। কিন্তু ততক্ষণে সেই ঘটনার স্ক্রিনশট নেওয়া হয়ে গেছে ্অনেকেরই।
দিল্লিতে সংঘর্ষের পর ভারত জুড়ে ছাত্রদের রাতভর প্রতিবাদ: ১০ পয়েন্ট
"জামিয়া মিলিয়া শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সংক্রান্ত টুইটকে অনিচ্ছাকৃতভাবে 'লাইক' করে ফেলেছিলাম আমি। আমি স্ক্রোলিং করছিলাম এবং সেই সময়েই কোনওভাবে ভুল করে সেটিকে 'লাইক' করে ফেলি আমি। যখন বুঝতে পারি তখনই আমি সেটিকে 'আনলাইক' করে দিয়েছি। আমি কোনওভাবেই এই ধরনের কাজকে সমর্থন করি না", সোমবার সকালে টুইট করে নিজের ভুলের ব্যাখ্যা দেন অক্ষয় কুমার।
তিনি ভুল করে যেটিতে "লাইক করেছেন" সেই টুইটটিতে বলা হয়: "বাধাই হো ... জামিয়া মে আজাদি মিলি হ্যায় (অভিনন্দন, জামিয়া স্বাধীনতা অর্জন করেছে)।" ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ক্যাম্পাসে পুলিশ ঝামেলায় উস্কানি দিচ্ছে এবং সেখানে কোনও শিক্ষার্থী নেই।
ভুল করে ওই টুইটকে সমর্থন করে ফেলেছেন, বলেন অক্ষয় কুমার, খিলাড়ির এই ব্যাখ্যার আধঘণ্টার মধ্যেই ১৮০০ বার রিটুইট হয় সেটি এবং ৯০০০ এরও বেশি লাইক করা হয় ।
এর আগেও একবার নাগরিকত্ব ইস্যুতেই খবরের শিরোনামে আসেন অক্ষয় কুমার। তিনি একবার বলে ফেলেন যে তাঁর আসলে কানাডার নাগরিকত্ব রয়েছে। পরে অবশ্য তিনি বলেন যে তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব লাভের জন্য়ে আবেদন করেছেন।
"আমি মুসলিম নই, কিন্তু তবু প্রতিবাদ করবো": বললেন জামিয়ার বিক্ষুব্ধ ছাত্রী
নয়া নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে রবিবার জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে পুলিশ গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ বাঁধে। এরপরেই পুলিশি তৎপরতার বিরুদ্ধে প্রায় গোটা দেশেই ছড়িয়ে পড়ে ছাত্র বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা ভাঙচুর চালায় ও যানবাহন জ্বালিয়ে দেয়। সেই সময়েই পুলিশ এলে তাঁদের সঙ্গেও সংঘর্ষ বাঁধে শিক্ষার্থীদের। লাঠিচার্জ করে ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থীকে আটক করে। যদিও পরে আটক করা সব শিক্ষার্থীকেই ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ ছেড়ে দেওয়া হয়।