পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, জঙ্গি দমন প্রক্রিয়ার গতি বৃদ্ধি পেয়েছে।
হাইলাইটস
- আনসার ঘাজওয়াত-উল হিন্দ বা এজিএইচ নিশ্চিহ্ন বলে জানিয়েছে পুলিশ
- জঙ্গি জাকির মুসার উত্তরাধিকারী আব্দুল হামিদ লালহারি মারা গিয়েছে গুলিতে
- পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, জঙ্গি দমন প্রক্রিয়ার গতি বৃদ্ধি পেয়েছে
শ্রীনগর: মঙ্গলবার জঙ্গি জাকির মুসার উত্তরাধিকারী আব্দুল হামিদ লালহারি মারা গিয়েছে অবন্তিপোরায়। বুধবার জম্মু ও কাশ্মীরের (J&k) পুলিশ প্রধান দিলবাগ সিংহ (Dilbag Singh) জানালেন, জঙ্গি সংগঠন (Terror Group) আনসার ঘাজওয়াত-উল হিন্দ বা এজিএইচ নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। শ্রীনগরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘আপাতত আনসার ঘাজওয়াত-উল হিন্দ নিশ্চিহ্ন হয়েছে।'' তবে ওই সংগঠন আবার পুনর্গঠিত হওয়ার সম্ভাবনাকে তিনি উড়িয়ে দেননি। জঙ্গি জাকির মুসার উত্তরাধিকারী আব্দুল হামিদ লালহেরি আনসার ঘাজওয়াত-উল হিন্দের প্রধান। ওই তিন জঙ্গিই জৈশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে কাজ করত। পুলিশ প্রধান জানিয়েছেন, জঙ্গি দমন প্রক্রিয়ার গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিন জঙ্গির খতম হওয়ার কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘লালহেরি আনসার ঘাজওয়াত-উল হিন্দের প্রধান ছিল। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে জাকির মুসা মারা যাওয়ার পর দলের দায়িত্ব পায় হামিদ লালহারি।''
তিনি বলেন লালহারি ২০১৬ সাল থেকে সক্রিয় হয় এবং সে বহু জঙ্গি হানায় অংশ নিয়েছিল। পুলিশ প্রধান বলেন, অনেকেই বলেছিলেন ৫ আগস্টের পর আরও বেশি করে তরুণ ছেলেরা জঙ্গি দলে নাম লেখাবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ইদানীং জঙ্গি দলে নিয়োগের গতি বেশ ধীর।
তিনি বলেন, কিছু তরুণ তাঁদের বাড়ি থেকে নিখোঁজ। কিন্তু এটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়, যে তারা জঙ্গি দলে নাম লিখিয়েছে। কাশ্মীরে টেলি যোগাযোগে আবার রাশ টানা হচ্ছে, এমন গুঞ্জনকে গুজব বলে উড়িয়ে দেন দিলবাগ সিংহ।
শিশুদের আটক করা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘কোনও কোনও এজেন্সি এমন বিভ্রান্তিতকর খবর ও প্রোপাগন্ডা ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে কিছু অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন সংবাদমাধ্যম। তারা আমাদের সঙ্গে কথা না বলে যাচাই না করেই নানা রকম সংখ্যা বলছে। আমি নিশ্চিত যে পদক্ষেপই করা হোক না কেন তা করা হয়েছে রীতিমতো ভাল ভিতের উপরে দাঁড়িয়েই। কোনও তরুণ, নাবালক বা কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়নি আমাদের তরফে। যখনই কোনও অল্পবয়স্ককে গ্রেফতার করা হয় ‘জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট' দৃঢ় ভাবে মেনেই করা হয়।''
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা তখনই জঙ্গি দমনে আমাদের কাজে সফল হব যখন কাশ্মীরের তরুণরা স্থানীয় সন্ত্রাসের পথ ছেড়ে শান্তির পথে হাঁটবে।''