Read in English
This Article is From Dec 16, 2019

সংঘর্ষ থামাতে অবাধ ভাঙচুর পুলিশের, ধরা পড়ল ক্যামেরায়

সংঘর্ষ থামানোর নামে অবাধ ভাঙচুর চালাল দিল্লি প্রশাসন। এমন অভিযোগ উঠেছে দিল্লি দক্ষিণ প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by
আলিগড়:

সংঘর্ষ থামানোর নামে অবাধ ভাঙচুর চালাল দিল্লি প্রশাসন। এমন অভিযোগ উঠেছে দিল্লি দক্ষিণ পুলিশের বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেলে আলিগড়ের Jamia Millia Islamia বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছিল শিক্ষার্থীরা। খবর, একসময় বিক্ষোভ বড় আকার নিলে সংঘর্ষ বাঁধে ছাত্র-পুলিশের। পরিস্থিতি সামলাতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে প্রশাসন। তখনই রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একাধিক বাইকে ভাঙচুর চালায় পুলিশ, অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের। সেই পুলিশি তাণ্ডব ধরা পড়েছে ক্যামেরাতেও। জানা গেছে, সংঘর্ষের সময় পাথর ছোড়ায় গুরুতর জখম হয়েছেন তিনজন পুলিশ। 

নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে উত্তপ্ত রাজধানী, বিক্ষোভ থামাতে চলল কাঁদানে গ্যাস

গত সন্ধেয় সাংবাদিকদের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দিল্লি পুলিশের ওপরমহল থেকে জানানো হয়েছে, কথা ছিল ১০০ থেকে ২০০ জন ছাত্র আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই এই প্রতিবাদ সমাবেশ করবেন। আচমকাই সেখানে ঢুকে পড়েন বহিরাগত ছাত্র এবং জনতা। দেখতে দেখতে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে চত্বরের বাইরে। খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে পুলিশ-শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এরপরেই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁটবৃষ্টি করতে থাকে শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিক্ষোভ থামানোর নামে পুলিশি তাণ্ডব চালিয়েছে দিল্লি দক্ষিণ প্রশাসন। গুরুতর আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু ছাত্র এবং কর্মীরাও। 

Advertisement

খবর, শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে এরপর লাঠিচার্জের সঙ্গে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ছোড়ে পুলিশ। শহরে যাতে হিংসা ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় ওখলা আন্ডারপাস থেকে সরিতা বিহারের যান চলাচল। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়া হয় শহরের নিউ ফ্লেন্ডস কলোনি। বিক্ষোভের ফলে যান চলাচল ব্যাহত হয় দিল্লি-মথুরা রোড, বদরপুর, আশ্রমচকেরও। 

'চাণক্যের ভেদনীতি মেনে বন্ধুত্ব ভাঙছেন!' অমিতকে কটাক্ষ আসাদুদ্দিনের

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক Afifullah Khan-এর কথায়, শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আহত হয়েছেন কিছু পুলিশ কর্মীও। ভিডিওয় দেখা গেছে এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার মাথা বাঁচাতে হেলমেট চাইছেন সহকর্মীর কাছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশি রাতে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে পুলিশের একাধিক গাড়িকে।

Advertisement