নয়াদিল্লি: একজন ছাড়া পশ্চিমবঙ্গে আর সমস্ত বামফ্রন্ট (Left Front) প্রার্থীকেই জমানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার লজ্জা পেতে হল ২০১৯ লোকসভা (Lok Sabha Election 2019) নির্বাচনে। সেই রাজ্য, যেখানে ২০১১ পর্যন্ত টানা ৩৪ বছর রাজত্ব করেছে বামেরাই। একমাত্র যাদবপুর কেন্দ্রের প্রার্থী সিপি(আই)এম-এর বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ২১.০৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। বাকি বামফ্রন্ট প্রার্থীরা কেউই জমানতের ২৫,০০০ টাকা ফেরত পাবার শর্ত হিসেবে ন্যূনতম ১৬.৬ শতাংশ ভোটও পাননি বলে জানা যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন সূত্রে। ভারতে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে গেলে প্রত্যেক প্রার্থীকে ২৫,০০০ টাকা জমা রাখতে হয়। তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের ক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ যথাক্রমে ১২,৫০০ টাকা ও ৫,০০০ টাকা। যে প্রার্থী ১৬ শতাংশের কম ভোট পাবেন, তিনি ওই জমা রাখা টাকা আর ফেরত পাবেন না।
মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশুকে ৬ বছরের জন্য বরখাস্ত করল তৃণমূল
১৯৭৭ সাল থেকে ২০১১ পর্যন্ত রাজ্যের শাসক থাকা সিপি(আই)এম-এর নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্টের (Left Front) প্রার্থীরা এবার তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আসনের নিরিখে তিন নম্বর থেকে চার নম্বরে নেমে গিয়েছেন। ন্যূনতম ভোটের কাছাকাছি পৌঁছতে পেরেছেন যে সিপি(আই)এম প্রার্থীরা তাঁরা হলেন— রায়গঞ্জের প্রার্থী মহম্মদ সেলিম (১৪.২৫ শতাংশ), দমদমের প্রার্থী নেপালদেব ভট্টাচার্য (১৩.৯১ শতাংশ), কলকাতা দক্ষিণের প্রার্থী নন্দিনী মুখোপাধ্যায় (১১.৬৩ শতাংশ) ও মুর্শিদাবাদের সাংসদ বদরুদ্দোজা খান (১১.৬৩ শতাংশ)। কিন্তু লড়াই করেও তাঁরা সেই ন্যূনতম পরিমাণ ভোটে পৌঁছতে পারেননি। অধিকাংশ আসনেই বামফ্রন্ট প্রার্থীরা ভোটপ্রাপ্তির শতাংশের হিসেবে দুই অঙ্কে পৌঁছতে ব্যর্থ। গত ছয় দশকে এটাই তাদের সবচেয়ে খারাপ ফল। একসময় তাদের দুর্গ ছিল যে রাজ্য, এবার সেখানে তাদের ঝুলি শূন্য।
বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে কাল জরুরি বৈঠক ডাকলেন মমতা
বামফ্রন্ট(Left Front) এবারের নির্বাচনে সারা দেশে মোট পাঁচটি আসন পেয়েছে— তামিলনাডুতে চার ও কেরলে এক, যেখানে তাদের রাজত্ব। তামিলনাডুতে সিপি(আই)এম ও সিপিআই দু'টি করে আসন পেয়েছে ডিএমকে-র সঙ্গে জোট করে। ১৯৫২ সালের পর থেকে এই প্রথম বামফ্রন্ট দু'অঙ্কের কম আসন পেল লোকসভা নির্বাচনে। এর আগে এখনও পর্যন্ত তাদের সবচেয়ে খারাপ ফল হয়েছিল ২০১৪-তে। সেবার তারা মাত্র বারোটি আসন পেয়েছিল। অথচ ২০০৯ সালেই তারা পেয়েছিল ৫৯টি আসন।