This Article is From Sep 30, 2019

নাগরিক পঞ্জি নিয়ে কলকাতায় অমিত শাহর সেমিনার মঙ্গলবার, শুরু জল্পনা

NRC: কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে নাগরিক পঞ্জি নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত আতঙ্কে ১১ জনের মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছে।

নাগরিক পঞ্জি নিয়ে কলকাতায় অমিত শাহর সেমিনার মঙ্গলবার, শুরু জল্পনা

২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম রাজ্যে অমিত শাহ।

বিতর্কিত নাগরিক পঞ্জি ও নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল, ২০১৯ বিল নিয়ে সেমিনারে যোগ দিতে কলকাতায় অমিত শাহ। মঙ্গলবার ওই সেমিনার হওয়ার কথা। সোমবার শহরে পা রাখার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। এদিন একটি দুর্গাপুজোর মণ্ডপে উপস্থিত হয়ে পুজো উদ্বোধন করার কথা তাঁর। এরপর মঙ্গলবার যোগ দেওয়ার কথা সেমিনারে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ।

এই মুহূর্তে কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে নাগরিক পঞ্জি নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত আতঙ্কে ১১ জনের মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছে। শয়ে শয়ে মানুষ লাইন দিয়েছেন পৌরসভা ও সরকারি অফিসে। জন্মের শংসাপত্র ও নাগরিকত্ব প্রমাণের প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহের জন্যই তাঁদের লাইন দিতে দেখা গিয়েছে।

চিন্ময়ানন্দ ইস্যুতে দৃঢ় অবস্থান প্রিয়ঙ্কা গান্ধির, জানালেন কংগ্রেস নেতা

অমিত শাহ একাধিক বার বলেছেন, অসমের মতোই গোটা দেশেই নাগরিক পঞ্জি প্রকাশ করা হবে। কিন্তু রাজ্যের শাসক দল‌ ও দলনেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, এরাজ্যে নাগরিক পঞ্জি রাজ্যে হতে দেওয়া হবে না।

রাজ্য বিজেপি সূত্র জানাচ্ছে, অমিত শাহর সেমিনারের অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে। তিনি এই সেমিনারে এসে তৃণমূল কংগ্রেসের আনা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে নাগরিক পঞ্জি সম্পর্কে যা ভুল ধারণা, তা ভেঙে দেবেন।

‘‘একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতেই হবে'': নরেন্দ্র মোদি

এক বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা বলছেন, ‘‘তৃণমূল ইচ্ছাকৃত ভাবে রাজ্যে এনআরসি নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছে। তাই অমিত শাহজি আমাদের পরিষ্কার ছবিটা দেখাবেন এবং সমস্ত ভয় ও ভ্রান্ত ধারণার সমাপ্তি ঘটাবেন।''

গত ৩১ আগস্ট অসমে নাগরিক পঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হলে দেখা যায় ১৯ লক্ষেরও বেশি মানুষ তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। এর মধ্যে ১২ লক্ষ হিন্দু রয়েছেন। এতজন বাঙালি হিন্দু তালিকা থেকে বাদ পড়ার পর এরাজ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে এই নিয়ে।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, ‘‘তৃণমূল নাগরিক পঞ্জির বিরোধিতা করছে বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচাতে, যারা তাদের ভোট ব্যাঙ্ক। কিন্তু অসমের নাগরিক পঞ্জি থেকে এত সংখ্যক হিন্দুর নাম বাদ যাওয়ার পর তারা আমাদের হিন্দু-বিরোধী এবং শরণার্থী-বিরোধী দল বলে দাগিয়ে দিতে চাইছে। এর ফলে রাজ্যে আমাদের সম্ভাবনা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।''

তৃণমূ‌ল এনআরসি সংক্রান্ত বিজেপির পদক্ষেপকে ‘বাঙালি-বিরোধী' বলে অভিযোগ জানিয়েছে।

এদিকে তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিজেপিকে আক্রমণ করে অভিযোগ জানিয়েছেন, ‘‘নিজেদের হিন্দুর রক্ষাকর্তা হিসেবে দাবি করার আগে বিজেপির প্রথমে বোঝানো উচিত কেন অসমের নাগরিক পঞ্জির তালিকা থেকে এত বিপুল সংখ্যক হিন্দুর নাম বাদ দেওয়া হল?''

তিনি আরও বলেন, ‘‘বিজেপি বলেছে নাগরিক পঞ্জি করার উদ্দেশ্য অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানো। তাহলে যে হিন্দুদের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়ল তারা অনুপ্রবেশকারী?''

নাগরিক (সংশোধনী) বিলে প্রস্তাব রাখা হয়েছে, হিন্দু, জৈন, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও পার্সিরা যাঁরা বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে এসেছেন তাঁরা সাত বছর ভারতে বাস করলেই নাগরিকত্ব পাবেন। বর্তমান নিয়মে সময়টা ১২ বছর। এই বিল গত ৮ জানুয়ারি পেশ করা হলেও ঊর্ধ্ব কক্ষে আটকে যায়।

কয়েকজন বিজেপি নেতার দাবি, এবারের শীতে আবারও বিলটি পেশ করা হবে নতুন করে।

দেখুন ভিডিও



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.