আররবিআই এবং কেন্দ্রের মধ্যে গোলমাল তিনটি বিষয় নিয়ে
হাইলাইটস
- বৈঠকে বসতে চলেছে আরবিআইয়ের পরিচালন সমিতি
- নিয়মে রদবদল করে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের উপর প্রভাব আরও বাড়াতে চায় সরকার
- তেমনটা হলে দুতরফের মধ্যে চাপানউতোর আরও বাড়বে
নিউ দিল্লি:
আজ বৈঠকে বসতে চলেছে আরবিআইয়ের পরিচালন সমিতি। সূত্রের খবর নিয়মে রদবদল করে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের উপর প্রভাব আরও বাড়াতে চায় সরকার। এমনিতেই বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করেন দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতিতে বেশ কয়েকজন ‘সরকারের পক্ষের লোক’ আছেন। প্রভাব আরও বাড়ানো হলে দুতরফের মধ্যে চাপানউতোর বাড়বে। একই সঙ্গে শোনা যাচ্ছে কোনও মধ্যপন্থা বের করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা হচ্ছে। আর গভর্নর উৰ্জিত প্যাটেলের পদত্যাগের সম্ভবনাও কম বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রদেয় দশটি তথ্য:
আরবিআইয়ের পরিচালন পদ্ধতিতে বদল আনতে চাইছে কেন্দ্র। তারা চায় ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতি নিজেদের মধ্যে প্যানেল তৈরি করে আর্থিক নীতি থেকে শুরু করে অন্য সিদ্ধান্ত নিক। কিন্তু এখন সেটা হয় না। এখন পরিচালন সমিতি পরামর্শ দেয়।
এস গুরুমূর্তি, সুভাষচন্দ্র গর্গ এবং রাজীব কুমারকে ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতিতে অন্তর্ভুক্ত করে কেন্দ্র প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আররবিআই এবং কেন্দ্রের মধ্যে গোলমাল তিনটি বিষয় নিয়ে। তার মধ্যে মূল হল উদ্বৃত্ত হাতে রাখা। ব্যাঙ্কের হাতে ৩.৬ লক্ষ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত আছে। সেটার একটা অংশ উন্নয়নের কাজে লাগাতে চায় কেন্দ্র। কিন্তু আরবিআই মনে করে এই টাকা রাখা উচিত পরবর্তী সময়ের জন্য।
১১ টি ব্যাঙ্ককে ঋণ না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। এটিও গোলমালের কারণ।
নন ব্যাঙ্কিঙ্গ সেক্টর থেকে শুরু করে এমএসএমই-দের ঋণ দেওয়া নিয়েও গোলমাল আছে।
কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে বর্তমান ঋণ নীতি সহ একাধিক ক্ষেত্রে এখন যে নিয়ম আছে তার বদল হওয়া দরকার। কিন্তু শীর্ষ ব্যাঙ্ক সেটা ভাবছে না।
টুইট করে সরকারকে আক্রমণ করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। তিনি মনে করেন মোদী সরকার আরবিআইকে দখল করতে চায়। আর বাকি যা বলা হচ্ছে সবই ভাঁওতা।
কংগ্রেস মনে করে সামনেই নির্বাচন বলে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের থেকে সরকার এক লক্ষ কোটি টাকা চেয়েছে। সেটাই গোলমালের কারণ।
এই পরিমাণ টাকা দিতে অসম্মত হওয়াতেই কেন্দ্র আরবিআই আইনের সাত নম্বর ধারা প্রয়োগ করতে চায় বলে মনে করেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। এই ধারা কার্যকর হলে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ককে ‘নির্দেশ' দিতে পারবে কেন্দ্র। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত এই আইনের কোনও প্রয়োগ হয়নি।
পরিচালন বোর্ডের সদস্য এস গুরুমূর্তি মনে করেন উদ্বৃত্ত রাখা নিয়ে স্থায়ী নিয়ম চায় সরকার।
Post a comment